পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳWց বস্তৃতাকুসুমাঞ্জলি | আলস্য মাখা “শান্তি শান্তি” বলিয়৷ মত্ত হইওনা। তুমি যেমন ভাবিতেছ—ঈশ্বরীয় শান্তি সেরূপ আলস্যের অর্থবোধিক নহে, কিন্তু তাহ পাপ ও স্বার্থশূন্য কৰ্ম্ম-বোধিকা—তাহা বিশ্রামবিহীন নিষ্কণ্টক-জীবন্ত-কাৰ্য্য-জ্ঞাপিকা—তাহা আত্মা, মন, বুদ্ধি, সংসার ও পরলোকের নিতান্ত-প্রয়োজনীয় শুভকৰ্ম্মসমূহ কিরূপ সামঞ্জস্য সহকারে ও কিরূপ শান্তভাবে করিতে হয় তাহারই অর্থ-প্রকাশিকা। অতএব গাত্রোথান কর, “শান্তিঃ শান্তিঃ” উচ্চারণপূর্বক ধীর ও শান্তভাবে ঈশ্বরার্থে সংসারের সৰ্ব্বকৰ্ম্ম সম্পূর্ণ মনোযোগের সহিত সাধন করিতে থাক । মাতৃগর্ভ হইতে ভূমিষ্ঠ হইয় অবধি কাৰ্য্যারম্ভ করিয়াছ—কিন্তু এমত চিন্তা তিলাদ্ধের নিমিত্তেও মনে স্থান দিওনা যে, পরলোকে গিয়া আর কার্য্য করিতে হইবেক না এবং যোগে যাগে এই কএক দিন সাধু-কৰ্ম্ম করিয়া পরলোকে তাহার ফল বিশ্রাম লাভ করিব অথবা দেবতাদের সভারূঢ় হইয়া গীত বাদ্য শুনিব। পক্ষান্তরে এই উপদেশ দৃঢ়তররূপে হৃদয়ে ধারণ করিবে যে, আত্মা যেমন অমৃত পদার্থ ও নিত্যকাল-স্থায়ী মৃত্যুর পর তাহার সম্মুখে তত অনন্ত-পরিমাণ নব নব কার্ঘ্যের ক্ষেত্ৰসকল নিত্যকাল ধরিয়া প্রকাশ পাইতে থাকিবেক । এখন র্যাহারা ঈশ্বরের প্রতি শ্রদ্ধা-সহকারে এখানকার কৰ্ম্ম সাধন করিবেন, তাহার এক দিকে জগতের শ্ৰীবৃদ্ধি সাধন জন্য যেমন লোকের নিকটে আশীৰ্ব্বাদ, ঈশ্বরের নিকটে পুরস্কার এবং আত্মাতে আত্মপ্রসাদ লাভ করিবেন, অন্যদিকে তেমনি কাৰ্যক্ষমতা ও কাৰ্য্যজন্য-বুদ্ধিমত্তা উপার্জন করত পরলোকে উচ্চ উচ্চ স্বৰ্গীয় কাৰ্য্য-সাধনে উপযুক্ত বল লাভ করিতে পারিবেন। এখানকার কৰ্ম্মক্ষেত্রে যিনি যে পরিমাণ