পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশ্বরে ভক্তি স্থির রাখিয়া সংসারীয় কাৰ্য্য সাধন করা। ११ ব্রহ্মের দিকে দৃষ্টি রাখিয়া কাৰ্য্য করিতে পারবেন, পরলোকে র্তাহার ব্রহ্মদর্শনের জ্ঞান-নেত্র সেই পরিমাণে তেজস্বিতা প্রাপ্ত হইবেক এবং সেই আলোকে তিনি ঈশ্বরের প্রিয়কাৰ্য্যসাধনে স্বগোচিত কৃতকাৰ্য্য হইবেন । নতুবা র্যাহারা এখান হইতে ব্ৰহ্মদর্শন অভ্যাস করেন নাই তাহারা যখন পরলোকে গিয়া দেখিবেন যে, ঈশ্বর-দর্শনের চক্ষুকে অন্ধ করিয়া লইয়৷ গিয়াছেন, তখন র্তাহারদিগকে অবশ্যই পরিতাপ ভোগ করিতে হইবেক । সেইরূপ র্যাহারা কাৰ্য্য-সাধনে না অভ্যস্ত হইয়া পরলোকে যাইবেন তাহারদিগকেও প্রচুর পরিতাপের সহিত তখনকার উপায়ানুসারে অভিনবরূপে কার্য্যে দীক্ষিত হইতে হইবেক । ৬ । যিনি যথার্থ ব্রহ্মোপাসক তিনি ব্রহ্মকে হৃদয়ে অনুভব করিতে করিতেই তাহার প্রিয়কাৰ্য্য করিয়া থাকেন। পতিব্ৰত৷ সাধী স্ত্রী যেমত পতি-প্রেম হৃদয়ে অনুভব করিতে করিতে পতির প্রিয়কাৰ্য সাধন করেন, ব্রহ্মোপাসক সেইরূপ ভগবৎভক্তিকে হৃদয়ে জাগরূকা রাখিয়া তাহার জগৎকার্য্য সাধন করিবেন। নতুবা অলস হইয়া কেবল ব্রহ্মারাধনা করা প্রকৃত ব্রহ্মোপাসনা নহে। ব্রাহ্মদিগের উপাসনা কেবল ধ্যান করা বা নাম করা নহে, কেবল স্তব-পাঠ বা সঙ্কীৰ্ত্তন করাও নহে। তাহার সহিত জাগ্রত,জ্বলন্ত,জগদীয় কার্যের যোগ রহিয়াছে। যে সকল কাৰ্য্য যথার্থই জগতের উপকারী তাহারই সাধন করা ব্রাহ্মদিগের অনুষ্ঠান। যাহার যেমন অধিকার তাহাকে তদনুযায়ী জ্ঞানুধৰ্ম্ম ও বিদ্যা শিক্ষাদেওয়া ব্রাহ্মদিগের আবশ্যকীয় অনুষ্ঠান। সন্তান সন্ততিকে উপযুক্ত পরিমাণে বিদ্যা, ব্ৰহ্মজ্ঞান ও ধৰ্ম্ম শিক্ষা দেওয়া ও সৰ্ব্বসামঞ্জস্যরূপে সংসার