পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՊՆ বস্তৃতাকুসুমাঞ্জলি। যাত্রা নির্বাহ করা ও করিতে না জানিলে তাহার প্রণালী শিক্ষা করা ব্রাহ্মদিগের কর্তব্য কৰ্ম্ম । এই সমস্ত কাৰ্য্য ঈশ্বরার্থে ও ঈশ্বরেরই প্রিয়কাৰ্য্য-জ্ঞানে করিতে হইবেক । তাহা হইলেই হৃদয়ে এত পরিমাণ বৈরাগ্য সঞ্চয় হইতে থাকিবেক যে, যদি দৈবাৎ কোন ব্যাঘাত উপস্থিত হইয়া আরব্ধ শুভকাৰ্য্য স্থসম্পন্ন না হয়, যদি দৈবাৎ সন্তান সন্ততি ক্রোড় শূন্য করিয়া অকালে চলিয়া যায়, যদি দৈবাৎ অর্থাগম রহিত বা সঞ্চিত ধনসম্পত্তি নষ্ট হয়, তবে সে সমুদয় বঞ্চনা ও বিপদ অবিচলিতচিত্তে র্তাহারই মুখ দেখিয়া সহ্য করা যাইবেক, র্যাহার প্রিয়কাৰ্য্য-জ্ঞানে তৎসমুদয় সাধনে ব্ৰতী হইয়াছিলাম এবং স্বয়ং ফলকামনা-শূন্য হইয়। সে সব র্যাহাকে অগ্ৰেই অপর্ণ করিয়াছিলাম। কিন্তু যত দূর পর্য্যন্ত পুরুষকার দ্বারা দৈবের অত্যাচারকে সম্ভবতঃ নিবারণ করা যাইতে পারে তাহার বিধান অগ্রে না করিতে পারিলে ঈশ্বরের প্রিয়কাৰ্য্য অকালে ধ্বংস হওয়া জন্য পুরুষ পাপ উপলব্ধি করিয়া থাকেন। তাদৃশ পাপের যন্ত্রণ র্যাহাকে সহ্য করিতে না হয় তিনিই ঈশ্বরের যথার্থ নিয়ম-প্রতিপালক। ফলে যেরূপ দৈবকে পুরুষকার দ্বারা শাসন করিতে হইবেক, সেইরূপ পুরুষকারকে বিষ্ণু-ভক্তি দ্বারা চচ্চিতও পরিশোভিত করিতে হইবেক; নতুবা তোমার পুরুষকার নরলোকে যতই আদরণীয় হউক কিন্তু তাহা দেবতাদের নিকটে ঘৃণিত হইয়া থাকিবেক ইতি ।