পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९५T @ দ্বারভাঙ্গ ব্রাহ্মসমাজ ও চৈত্র ১৭৯৪ শক শুক্রবার । পরমেশ্বরের অস্তিত্ব-জ্ঞান ও তত্ত্ব-জ্ঞান । “নৈব বাচ ন মনসা প্রাপ্ত শকোন চক্ষুষা। অস্তীতি ব্রুবতোহন্যত্র কথং তদুপলভ্যতে ॥ অস্তীত্যেবোলন্ধব্যস্তত্ত্বভাবেন চোভয়োঃ । অস্তীত্যেব্যোপলব্ধস্ত তত্ত্বভাবঃ প্ৰসীদতি ॥” ইতি কঠোপনিষৎ, দ্বিতীয়াধ্যায়, ষষ্ঠীবল্লী ১২ এবং ১৩ সংখ্যক শ্রীতি ॥ ১। পরমেশ্বরকে না বাক্য দ্বারা, না মনের দ্বারা, না চক্ষুর দ্বারা পাওয়া যায়। র্যাহারা বলেন তিনি আছেন তাহারাই র্তাহাকে পান, তদ্ভিন্ন আর কি প্রকারে তাহাকে জানা যাইতে পারে ॥১২। তিনি আছেন এই ভাবেও তাহাকে পাওয়া যায় আর তত্ত্বভাবেও তাহাকে পাওয়া যায়। উভয়ের মধ্যে তিনি আছেন যাহার এই প্রকারে জানেন, তাহার তত্ত্বভাবও আপনা হইতেই তাহারা প্রাপ্ত হয়েন ॥১৩ ২। এই দুইটি শ্রুতিতে প্রথমতঃ উক্ত হইয়াছে যে, পরমেশ্বরকে বাক্য, মন, চক্ষুর দ্বারা পাওয়া যায় না। এস্থানের তাৎপৰ্য্য এই যে, কোন ইন্দ্রিয়ের দ্বারাই তাহাকে লাভ করা যায় না। তিনি শরীর-বিহীন। র্তাহাতে শব্দ,স্পর্শ, রূপ,রস,গন্ধ এ সকল ইন্দ্রিয় গ্রাহ্য গুণ অবস্থিতি করে না। নর-কণ্ঠ-নিঃস্থত