পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরমেশ্বরের অস্তিত্ব-জ্ঞান ও তত্ত্ব-জ্ঞান । * b> র্তাহাকে পাওয়া যায় না ; অথবা পরমেশ্বরের স্বৰ্গীয় প্রেমে হৃদয় অভিষিক্ত হয় নাই ; তুমি কেবল মুখে তাহার স্তব-পাঠ করিতেছ—সেরূপ বাক্য দ্বারা তাহাকে পাওয়া যায় না। অতঃপর শিষ্যের যেখানে শ্রবণে স্বন্দর অধিকার এবং গুরুর উপাদেয় উপদেশ এ উভয়ই বর্তমান সেখানেও গুরু-বাক্য পরমেশ্বরের গুণ-বর্ণনে বা স্বরূপোপদেশে অক্ষম থাকিয়া যায়। কেন না, ক্ষুদ্র মানব সেই মহানের যশোবর্ণন করিয়া শেষ করিতে পারে না এবং তাহার অনিৰ্দ্দেশ্ব পরমগুহ স্বৰ্গীয়ভাবকে বাক্য দ্বারা বুঝাইতে অপারক হয়। এই প্রকারে আমরা সকলেই বুঝি যে, অামারদের ইন্দ্রিয়ের দ্বারা আমরা সেই ইন্দ্রিয়াতীত—বিষয়াতীত পরমেশ্বরের অস্তিত্ব লাভ করিতে পারি না । এপর্য্যন্ত সকলই সহজ। আমারদের প্রত্যেকের মনই এই বিচারকে নিঃসন্দেহে গ্রহণ করিতেছে। কিন্তু উপরি উক্ত শ্রুতিতে তদতিরিক্ত আর একটি কথা রহিয়াছে—“ন মনসা’ মনের দ্বারাও পরমেশ্বরকে পাওয়া যায় না। আমারদের মধ্যে অনেকেরই এই কথা ভাল করিয়া বুঝা হয় নাই। প্রত্যেক ইন্দ্রিয়ের প্রকৃতি যে প্রকার এবং প্রত্যেক ইন্দ্রিয়ের বিষয় যাহা তাহ আমরা যেমন সহজে বুঝি, আমারদের মনের প্রকৃতি এবং মনের বিষয় যে প্রকার তাহা আমরা তত সহজে বুঝি না । অতএব মন শব্দের অর্থ কি ও মন কোন প্রকার জ্ঞান গ্রহণ করিতে পারে তাহা অগ্রেই জানা উচিত । ৩ । শাস্ত্রানুসারে মন মানব-চৈতন্যের অবস্থা-বিশেষের এক উপাধিমাত্র। আমারদের জীবাত্মা যে অবস্থায় ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বিষয়ের বা তদীয় জ্ঞানের সহিত ব্যাপার করে তাহার Y *