পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরমেশ্বরের অস্তিত্ব-জ্ঞান ও তত্ত্ব-জ্ঞান। סיל এবং চক্ষুরাদি ইন্দ্রিয়গণ হৃদয়ে সন্নিবেশিত হয়। সে সময়ে বাহ-জগৎ ঘোরতর অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়, বিষয়-রাজ্য ও মনোরাজ্যে যেন এক নিশাকাল উপস্থিত হয়, তখন আর সকলেই নিদ্রা যায়। সেই অতি-ঘোর রজনীতে আমারদের আত্মার কুটীরে, তাহার জনক জননী স্বরূপ পুত্র হইতে প্রিয়, বিত্ত হইতে প্রিয় ভক্তবৎসল ত্রিভুবন-নাথের আবির্ভাব হইয়া থাকে। জীবাত্মার এই যে বিরল অবস্থা তাহাই ব্রহ্মকে লাভ করিতে পারে। এই অবস্থাই জীবাত্মার স্বকীয় নিশ্চিন্ত অবস্থা ; ঐ অবস্থার নাম প্রত্যয়, উহারই নাম বিশ্বাস, উহারই নাম ভগবৎপ্রেম, উহারই নাম ব্ৰহ্মজ্ঞান এবং ঐ অবস্থাতেই সাক্ষাৎ-সম্বন্ধে ব্ৰহ্মলাভ হইয়া থাকে । এই জন্য উক্ত হইয়াছে যে, পরমেশ্বরকে বাক্য, মন,চক্ষু ইত্যাদি দ্বারা পাওয়া যায় না। তবে কিসের দ্বারা পাওয়া যায় ? না ‘অস্তীতি ব্রুবতোহন্যত্র কথং তদুপলভ্যতে ?” র্যাহারা বলেন তিনি আছেন তাহারাই তাহাকে লাভ করেন। তদ্ভিন্ন আর কি প্রকারে তাহাকে জানা যাইতে পারে? এ কথার তাৎপর্য্য এই যে, র্যাহারা জাগ্ৰত জ্ঞানের সহিত, অবিচলিত প্রেমের সহিত, দৃঢ় বিশ্বাস ও প্রত্যয়ের সহিত দৃষ্টি করেন যে, তিনি আছেন তাহারাই তাহাকে লাভ করেন, র্তাহারাই প্রকৃত অস্তীতি-বাদী । তাহারাই সার্থক বলেন যে, “তিনি আছেন”। এই প্রকার ভাব ব্যতীত আর কি প্রকারে তাহাকে পাওয়া যাইতে পারে? অর্থাৎ আর কোন প্রকারেই পাওয়া যায় না। . ৪। ব্রহ্ম আছেন এ কথা কেবল মুখে বলিলেই হয় না। তাহাকে শাস্ত্রে “বলা” বলেন না । যে ব্ৰহ্ম বাক্য, মন, চক্ষুরাদির অগোচর—অগম্য, “তিনি আছেন” এই কথা