পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

br8 বস্তৃতাকুসুমাঞ্জলি। বলিলেই যদি তাহাকে পাওয়া যাইত তবে আর র্তাহাকে বাক্যের অগোচররাপে কহ হইত না, কারণ “তিনি আছেন” এই কথামাত্র বলিয়। তাহাকে পাওয়া আর বাক্য দ্বারা তাহাকে পাওয়৷ একই কথা। মনের তো কথাই নাই। অতএব “যাহার বলেন তিনি আছেন তাহারাই তাহাকে পান” এই শাস্ত্রীয় কথার মৰ্ম্মটি বাক্য, মন, চক্ষুরাদিগ্রাহ জ্ঞানের সহিত বিপ্রতিপত্তি-ভাবে একমাত্র জাগ্রত প্রত্যয়কে অথবা একমাত্র ব্যাকুলতা-যুক্ত প্রার্থনাকে, অথবা একমাত্র দৃঢ়তর প্রেম বা পরমাত্ম-জ্ঞানকে প্রতিপন্ন করিতেছে ; কেবল বদন-নিঃস্বতবাক্যকে প্রতিপন্ন করে না। উক্তপ্রকার প্রত্যয়, বিশ্বাস, শ্রদ্ধ, প্রেম, পরমাত্ম-জ্ঞান, বা ব্যাকুলতা-যুক্ত প্রার্থনা— উহাকে যে নামই দেও, উহা জীবাত্মার ইন্দ্রিয় চপলতা-বিহীন, বিষয়-চিন্তা-বিরহিত, মানস-চাঞ্চল্য-নির্বাপিত-স্বরূপ অবস্থামাত্র । আজ কাল আমরা ঐ অবস্থাকেই অধিক সময়ে তাত্মা ও হৃদয় বলি। উহাই ব্রহ্মকে উপলব্ধি ও অনুভব করিয়া থাকে। উহার মধ্যে কিছুমাত্র বাহ-ভাব নাহি, কিছুমাত্র চপলত নাহি । - f৫। অতএব জীবাত্মার স্বরূপাবস্থাই ব্ৰহ্ম-লাভের উপযোগী। যত আমরা বিষয় হইতে মনকে আকর্ষণ করত জীবাত্মার হোম-কুণ্ডে তাহাকে হবন করিতে পারিব, যত আমরা এ সংসারের মায়িক জ্ঞানকে জীবাত্মাতে হোম করিতে পারিব ততই আমরা ঠিক করিয়া বলিতে পারিব যে, “ব্রহ্ম আছেন” কেন না, ততই আমারদের হৃদয়ে তাহাকে আমরা বর্তমান দেখিব। “ব্রহ্ম আছেন” এ কথা অনুমানে বলিলে সিদ্ধি-লাভ হয় না, তাহাকে দেখিয়া বলিলেই সিদ্ধি-লাভ হয়। এক বার