পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরমেশ্বরের অস্তিত্ব-জ্ঞান ও তত্ত্ব জ্ঞান । է (t যদি আমরা সেই ভুবনাধিপতি,পর গতি,পিতা মাতাকে ঐরাপে দর্শন পাই তবে আমরা ঠিক করিয়া বলিতে পারি যে, তিনি আছেন। তাহার পর যদি তাহাকে আর না দেখিতে পাই তখনও তিনি আছেন এ বিশ্বাস নষ্ট হয় না। সেই বিশ্বাসের বলে তখন আবার ব্যাকুলতা-সহকারে তাহার তত্ত্ব করি। আবার তাহাকে লাভ করি। কিন্তু তাহাকে আমরা যতই শ্রদ্ধার সহিত বা যতই ভক্তির সহিত কেন দেখি না, তাহার পূর্ণ তত্ত্ব আমরা কিছুতেই লাভ করিতে পারি না। পূর্ণ তত্ত্ব লাভ করিতে ন পারি, কিন্তু তাহাকে পূর্ণ পুরুষরূপে—আমারদের পিতা মাতা রূপে লাভ করিতে পারি। পিতা মাতার যে কত গুণ ও কত দয়। মমতা—তাহার পূর্ণতত্ত্ব আমরা লাভ করিতে অশক্ত কিন্তু তাহারদিগকে পূর্ণ পিতা মাতা রূপে আমরা লাভ করিয়া থাকি । পিতা মাতা আমারদের সম্বন্ধ ব্যতীত কত চিন্তা করেন, কত কাৰ্য্য করেন। সে সকল ভাবে আমরা তাহারদিগকে পিত। মাতা রূপে গ্রহণ করি না; কেবল আমারদেরই সহিত র্তাহারদের যত টুকু হৃদয়গত, মনোগত, শরীরগত যত্ন সেই টুকু দেখিয়াই আমরা তাহারদিগকে পূর্ণ পিত মাতারূপে গ্রহণ করিয়া থাকি। কিন্তু প্রকৃত প্রস্তাবে র্তাহারা একাংশে অামারদের প্রতি অনুরক্ত হইয়াও, আমরা সন্তান বলিয়া আমারদেরই দিকে মুখ্যভাবে মনোযোগ রাখেন; আমরাও র্তাহারদের অন্য ভাবের অনুসন্ধান না করিয়া যে মমতার স্রোত আমারদের দিকে প্রবাহিত হইতেছে তাহাই ধরিয়া তাহারদিগকে পূর্ণ পিতা মাতা বলিয়া গ্রহণ করিয়া থাকি এবং সেই ভাবে প্রাপ্তও হই। পরম পরাৎপর জগৎকারণ সমস্ত জগতের স্বষ্টি-কর্তা, পালন-কর্তা ও রক্ষা-কর্তা ।