পাতা:বক্তৃতাকুসুমাঞ্জলি.pdf/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ե Ն বস্তৃতাকুসুমাঞ্জলি । জগতের সহিত র্তাহার যত টুকু সম্বন্ধ আমরা তত টুকু ভাব অবলম্বন করিয়াই তাহাকে জগদীশ্বর কছি এবং তাহার মধ্যে আমার সহিত র্তাহার যত টুকু সম্বন্ধ আমি তাহাকে সেই পরিমাণে আমার পিতা বা অন্তরাত্মা বলিয়া উপলব্ধি করি। এই জগতের অতীত ভাগে বা আমার আত্মার বহির্দেশে তাহার যে পরিমাণ সম্বন্ধ আছে তাহার পূর্ণতত্ত্ব আমি নাই পাই; তথাপি আমি ইহা জানি যে, তিনি আমার অন্তরাত্মা, পরম পিতা ও স্নেহময়ী জননী। এ ভাবে আমি পূর্ণরূপেই তাহাকে লাভ করিয়া থাকি। যদিও প্রকৃত প্রস্তাবে তাহার স্বকীয় পূর্ণস্বরূপের তুলনায় তাহার জগদীয় সম্বন্ধ একাংশমাত্র কিন্তু আমরা তাহার সন্তান, এজন্য তাহার মুখ্য আনুরক্তি আমারদের প্রতি আছে। আমরাও তাঁহাকে প্রত্যেকে আপন আপন জনক জননী বলিয়া পূর্ণভাবে প্রাপ্ত হই এবং তাহার সর্বক্ষমতাকে আমরা না জানিয়াও ঐ পূর্ণতার মধ্যেই দৃষ্টি করি। ৬ । কিন্তু পরমজ্ঞানী ঋষিগণ ব্রহ্মের শুদ্ধ একমাত্র অস্তিত্ব-জ্ঞানেই সন্তুষ্ট হন নাই । তাহকে যে পরিমাণে আপনারদের সম্বন্ধ অনুসারে পাওয়া যায় তাহা তো তাহারা পাইয়াইছিলেন । তদতিরিক্ত পরমেশ্বরের এই জগতের সহিত যত দূর সম্বন্ধ তাহাও তাহারা অনেকদূর তত্ত্ব করিয়া সে ভাবেও তাহাকে পাইয়াছিলেন । র্তাহারা এই জগৎকে পরিত্যাগ করিয়াও কিয়ৎপরিমাণ র্তাহার তত্ত্ব অন্বেষণ করিয়াছিলেন কিন্তু সে ভাবে তাহাকে পাওয়া যায় না ইহাই বলিয়৷ তুৰ্কীস্তাব অবলম্বন করিয়াছিলেন। তাহারা কহিয়াছেন—তিনি স্বরূপতঃ যে পূর্ণানন্দ তাহার সমুদয় পরিমাণ জীবের প্রয়োজনীয় নহে। তাহার এক কণা মাত্র আনন্দকে সমুদয় জীব