পাতা:বক্সা ক্যাম্প.djvu/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

শুনি?” অর্থাৎ উহা কি সাহেবের পৈত্রিক সম্পত্তি, ইহাই ছিল আমাদের আসল জিজ্ঞাস্য বা মনের ভাব।

 সেক্রেটারী বলিলেন, “সমস্ত শুনে ফিনী সাহেব বল্লেন, “তোমাদের জিনিষ তোমাদের কাছে থাকবে, এতে আপত্তি করবার কি থাকতে পারে।”

 আমরা বলিলাম, “আমরাও তে। তাই বলি।”

 সেক্রেটারী বলিলেন, “কিন্তু তিনি বল্লেন যে, তিনি অত্যন্ত দুঃখিত—”

 শেষ করিতে না দিয়াই আমরা প্রশ্ন করিলাম, “তিনি আবার খামোকা দুঃখিত হতে যান কেন?”

 “কারণ, তাঁর সাধ্য নেই এগুলি ভিতরে পাঠাবার।”

 আমরা বলিলাম, “বেশ, লোকের অভাব থাকে, আমরাই হাতে হাতে এগুলি নিয়ে আসব।”

 সেক্রেটারী বলিলেন, “লোকের অভাবের কথা হচ্ছে না। কথা হচ্ছে, সাহেব বল্লেন যে, গভর্নমেণ্টের অর্ডার নেই।”

 মেম্বরগণ তাঁহাদের সেক্রেটারীকে প্রশ্ন করিলেন, “আপনি সে অর্ডার দেখেছেন?”

 সেক্রেটারীও ঝানু লোক, কহিলেন, “বল্লাম, কই দেখি তোমার অর্ডার। সাহেব একটা সার্কুলার আমার চোখের সামনে খুলে ধরে বল্লেন, দেখলে তো ক্ষুর পর্যন্ত not allowed. আর হকিস্টীকের মত ডজন তিনেক মারাত্মক অস্ত্র ইচ্ছে থাকলেও তোমাদের হাতে আমি তুলে দিতে পারিনে।”

 শুনিয়া আমরা উচ্চারণ করিলাম—“হুঁ।” অর্থাৎ ব্যাটা আচ্ছা প্যাঁচ কষিয়াছে, ভোগাবে দেখিতেছি।

 বুঝিলাম, ফিনী সাহেব এখন হইতে যুদ্ধের কৌশল পরিবর্তন করিয়াছে এবং যুক্তিতর্কের আশ্রয় লইতে আরম্ভ করিয়াছেন। যুক্তির লড়াই মানে বুদ্ধির লড়াই। মাথার সংখ্যা বেশী হইলেই বুদ্ধির পরিমাণ সেই অনুপাতে বৃদ্ধি পায় না। এই পৃথিবীতে কতবার দেখা গিয়াছে যে, লক্ষ লক্ষ বোকা লোক একটা বুদ্ধিমানের

৯৯