পাতা:বক্সা ক্যাম্প.djvu/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

নিকট হারিয়া গিয়াছে, যেমন হাজার ভেড়া একটা সিংহের গনের্জ আধমরা হইয়া যায়। ফিনীসাহেব আমাদিগকে বেকায়দায় ফেলিলেন, আমরা কমিটির সভ্যগণ ভাবনা ও দুশ্চিন্তার ভারে মুণ্ড হেঁট করিয়া বসিয়া রহিলাম।

 এমন সময় দৈববাণী হইল, “আমি মালশুদ্ধ বাক্স ভিতরে এনে দিতে পারি।”

 রণুবাবুর গলা। শুনিয়া আর সন্দেহ রহিল না যে, ব্রহ্ম কৃপা করিয়াছেন। আমরা বিশ্বাস করিলাম যে, এক ‘প্রভু’ই এই বিষাদসাগর হইতে আমাদিগকে উদ্ধার করিতে পারেন। তিনি যে কি পারেন, আর কি পারেন না, বুঝিতে গিয়া আমরা হাল ছাড়িয়া দিয়াছি। প্রভুর মহিমাই শুধু নহে, প্রতিভাও অপার এবং বিচিত্র ছিল।

 আমরা বলিলাম, “আপনি এগুলি আনিয়ে দিতে পারেন?”

 রুণুবাবু সংক্ষিপ্ত জবাব দিলেন, “পারি।” প্রভু শূন্য কুম্ভ ছিলেন না, তাই বেশী বাক্য নির্গত হইতে দেন নাই।

 আমরা অনুরোধ করিলাম, “তবে আপনি এগুলি আনিয়ে দিন প্রভু।”

 প্রভু বলিলেন, “আচ্ছা। কিন্তু—”

 আমরা শঙ্কিত হইয়া কহিলাম—“এর মধ্যে দোহাই প্রভু, আর কিন্তু ঢোকাবেন না।”

 অনুরোধে কান না দিয়া তিনি বলিলেন, “একটি সর্তে এ ভার নিতে আমি পারি।”

 বাধ্য হইয়া আমাদের প্রশ্ন করিতে হইল, “কি আপনার সর্ত প্রভু?”

 তিনি গম্ভীর কণ্ঠে ঘোষণা করিলেন,—“আমাকে তিন দিনের জন্য সেক্রেটারী করতে হবে।”

 আমাদের ঘর্ম দিয়া জ্বর ত্যাগ হইল, এত অল্পে রেহাই পাইব, এমন আশঙ্কা আমরা করি নাই। সানন্দে কমিটি প্রভুর সর্তে তৎক্ষণাৎ সম্মত হইয়া গেলেন। সাব্যস্ত হইল যে, অফিসে সেক্রেটারীর চিঠি যাইবে যে, তিনি অসুস্থ বিধায় তাঁহার

১০০