পাতা:বক্সা ক্যাম্প.djvu/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

স্থলে মিঃ শৈলেন দাশগুপ্ত, ওরফে আমাদের ‘প্রভু’ সেক্রেটারীর কার্য নিবাহ করিবেন।

 সভা ভঙ্গের পূর্বে সুরে ঘনিষ্ঠতা আনিয়া আমরা প্রশ্ন করিলাম, “বলুন না প্রভু, কি ভাবে বাক্স আনবেন?”

 প্রভু এতাবৎ রক্ষিত তাঁর গাম্ভীর্যকে একটুও শিথিল না করিয়া পূর্ববৎ গম্ভীর কণ্ঠে বলিলেন, “বুদ্ধিমান ব্যক্তি কখনও মন্ত্র ব্যক্ত করেন না, কারণ দেয়ালেরও কর্ণ রহিয়াছে।”

 আমরা মুখে বলিলাম, “তা তো বটেই।” আর মনে মনে বলিলাম, “ব্যাটা ঘুঘুদাশ।”

 পরের দিন প্রভু যথাসময়ে আফিসে গেলেন এবং একাই ফিরিয়া আসিলেন, সঙ্গে বাক্স নাই।

 আমরা কহিলাম, “কই, বাক্স কই?”

 —“বাক্স অফিসে আছে, ব্যস্ত হবেন না। এখনও দুদিন পূরো আছে।”

 পরের দিন প্রভু আমাদের ঘরে আসিয়া প্রবেশ করিলেন। পোষাক দেখিয়া চমৎকৃত হইলাম। পরিধানে হাফপ্যাণ্ট, পায়ে মোটা মোজা, দুই পায়ে দুই বুট, উত্তমাঙ্গে মিলিটারী কোট এবং মাথায় একটা টুপি।

 জিজ্ঞাসা করিলাম, “দড়বড়ি ঘোড়া চড়ি কোথা তুমি যাও হে?”

 সঙ্গে সঙ্গে উত্তর হইল, “সমরে চলিনু হাম, হামে না ফিরাও হে।”

 কহিলাম, সত্যি “ব্যাপার কি?”

 উত্তর হইল, অফিসে যাচ্ছি। আজ আমি, জেনারেল ফন রুণডাস (রুণুদাশ), যাচ্ছি দুর্গের কমাণ্ডাণ্টের সঙ্গে মিলিটারী কনফারেন্সে আলোচনা করতে।” বলিয়াই আমার মশারী-টানাইবার একটা লোহার ডাণ্ডা টান মারিয়া খাটিয়া হইতে খুলিয়া লইলেন।

 বলিলাম, “আরে, করেন কি?”

১০১