পাতা:বক্সা ক্যাম্প.djvu/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

বাথরুমের দিকে আগাইয়া গেল।—শাসানীটুকুতে কাজ দিয়াছিল, দু দিনের মধ্যেই ক্যাম্পে রজকের আবির্ভাব হইল।

 পরের দিন মহেন্দ্র ব্যানার্জী আসিয়া আমাদের ব্যারাকে উপস্থিত হইলেন, কহিলেন, “পঞ্চাননবাবু, একটা নতুন মাল আবিষ্কার করেছি, খোঁজ পাননি এখনও? দাঁড়ান, নিয়ে আসছি,” বলিয়া বাহির হইয়া গেলেন।

 কিছুক্ষণ পরেই দরজায় মহেন্দ্রবাবুর গলা শোনা গেল, “পঞ্চাননবাবু, এনেছি।”

 সঙ্গে সঙ্গে আর একজনের গলা শোনা গেল, “আরে করে কি! আচ্ছা লোকের পাল্লায় পড়েছি। হাতটা ছাড়ুন, নইলে লোকে মনে করবে যে, পকেট মেরেছি। কথা দিচ্ছি পালাব না।”

 ঘাড় ফিরাইয়া আমরা দেখিলাম, মহেন্দ্র ব্যানার্জি গতকল্যকার সেই “শালা বাঙলা জানে”-প্রশ্ন কর্তাকেই হাতটা ধরিয়া টানিয়া আনিতেছেন।

 আমাদের সামনে তাকে হাজির করিয়া মহেন্দ্রবাবু বলিলেন, “এই নিন। ইনিই সেই মাল, নান বর্তমানে মারফৎ।”

 তারপর ঘণ্টা তিনেক বসিয়া আমরা জন পঁচিশেক অমর চ্যাটার্জিকে ঘিরিয়া যত হাসি হাসিয়াছিলাম, সারা বছরেও তত হাসি আমরা হাসি নাই। এই আসরেই ওস্তাদ তার গ্রেপ্তারের কাহিনী বর্ণনা করে এবং ধরা পড়ায় তাহার কি উপকার হইয়াছে, তাহাও ব্যক্ত করে। ওস্তাদের ভাষা যথাসাধ্য মার্জিত করিয়া তার বক্তব্যটুকুও পেশ করা যাইতেছে।

 ওস্তাদ বলিল, “পুলিশে না ধরলে, শালা হোটেলওয়ালাই জেলে দিত।”

 যতীনবাবু (দাশগুপ্ত) ওস্তাদদেরই এক পাড়ার লোক, জিজ্ঞাসা করিলেন, “হোটেলওয়ালাটা আবার কে?”

 —“যে খেতে দেয়, লোকে ব’লে পিতা, আমি বলি হোটেলওয়ালা।”

 —“বাবা হয়ে তিনি তোমাকে জেলে দিতেন,”—বিস্মিত প্রশ্ন জিজ্ঞাসিত হইল। উত্তর হইল, “কেন দেবে না শুনি? ব্যাটা আমার চরিত্রে সন্দেহ

১১১