এই উপলক্ষে তাঁহার জন্মজয়ন্তী উৎসবের আয়োজনে ব্যাপৃত হইয়াছে। বিরাট ব্যাপার ও বিরাট উৎসব, তাই অনুষ্ঠানের তারিখটি জয়ন্তী উৎসবের কর্তৃপক্ষ পিছাইয়া দিয়াছিলেন। আমরা ঠিক করিলাম যে, ২৪শে তারিখেই আমরা কবিগুরুর জয়ন্তী-উৎসব পালন করিব।
রবীন্দ্রনাথ সম্বন্ধে দেশের লোকের ও স্বদেশীদের কি মনোভাব, তাহা আপনারা নিশ্চয় জানেন। এখনও যদি না জানিয়া থাকেন, তবে আর খামোকা চেষ্ট করিয়া সময় নষ্ট নাই বা করিলেন।
রবীন্দ্রনাথ সম্বন্ধে রচনা লিখতেছি না। কবিগুরু সম্বন্ধে আামর ব্যক্তিগত ধারণাটা এই সুযোগে এখানে পেশ করিবা রাখিতে চাই। আশা করি, আমার মতামত একান্ত আমার বলিয়া গ্রহণ করিবেন, কলহের জন্য উন্মুখ হইয়া উঠিবেন না।
পড়াশুনা আমার খুব বেশ, এমন অহংকার আমি করি না। আপনাদের আশীর্বাদে যতটুকু বিদ্যাচর্চার দুর্ভোগ আমার হইয়াছে, তাহাকে ভিত্তি করিয়াই আমার প্রথম অভিমতটি ব্যক্ত করিতেছি। ব্যাসদেবের পর ভারতবর্ষে এত বড় সাহিত্যিক প্রতিভা আর আসেন নাই, কবিগুরু সম্বন্ধে ইহাই আমার ধারণা। যুক্তি দিয়া এ-ধারণা পরিবর্তন আপনারা করিতে পারিবেন না। আমি যাহা বুঝিয়া রাখিয়াছি, তাহা আর রদবদলের অবকাশ নাই।
আমার দ্বিতীয় ধারণা, বর্তমান যুগে উপনিষদের এত বড় ভাষ্যকার আর কেহ আসেন নাই। বর্তমান ভারতবর্ষে উপনিষদের শ্রেষ্ঠতম ভাষ্যকার বলিয়াই কবিগুরুকে আমি মনে করি।
আমার তৃতীয় ধারণাটি একটু বিশেষ। প্রথম দুইটি ধারণা লইয়া আলোচনার অবকাশ হয়তো আছে এবং হইলে আলোচনা করাও চলে। কিন্তু তৃতীয় ধারণাটি সম্বন্ধে সে-সুযোগ নাই। ধারণাটি ব্যক্ত করিলেই আমার উক্তির অর্থ টুকু পরিষ্কার হইবে। আমি মনে করি রবীন্দ্রনাথ সমাধিবান পুরুষ। ঋষির সমাধিই আমি বুঝাইতেছি, যে-সমাধিতে ঋষি ও ব্রহ্মজ্ঞ পদবীতে সাধকগণ উপনীত
১৪৯