সন্তোষদা উত্তর দিলেন, “আপনি জানেন না প্রতুলদা, এ একটি জিনিয়স, সব খেলাতেই সমান পারঙ্গম, সব্যবাচী বল্লেই চলে।”
প্রতুলবাবু এবার হাসিকে মুক্ত করিতে কোন বাধা বোধ করিলেন না, জিজ্ঞাসা করিলেন, “ক্ষিতীশবাবু কি বলেন?”
ক্ষিতীশবাবু জবাব দিলেন, “এঁরা সব মুখেন মারিতং জগৎ। দেখলাম না তো আজ পর্যন্ত মাঠে নামতে একদিন।” আমরা উপস্থিত দর্শকবৃন্দ এ-অভিযোগ সমর্থন করিলাম।
সন্তোষবাবু হাসিয়া জবাব দিলেন, “আমি তো আর লজ্জার মাথা খাইনি, নইলে আর একজনের মত নেমে পড়তুম বৈকি।”
‘আর একজন’ যিনি লজ্জার মস্তক ভক্ষণ করিয়া বসিয়াছেন, তিনি মুখভঙ্গী সহযোগে পুরানো রসিকতাটিরই আবৃত্তি করিলেন, “মুখ না থাকলে এদ্দিন শেয়ালে টেনে নিত।”
ভূপতিদা শুধু প্রশ্ন করিলেন, “কার?” অর্থাৎ কার মুখ না থাকিলে, বক্তার না সন্তোষ দত্তের, এই সমস্যায় তিনি পড়িয়াছেন।
ক্ষিতীশদা মেজাজ রক্ষা করিলেন না, স্ব-পক্ষের ভূপতিদাকে পর্যন্ত বিপক্ষে ঠেলিয়া দিয়া ব্যাপক আক্রমণ চালাইলেন, “আপনাদের সকলেরই। সবাই সমান বচনবাগীশ।”
প্রতুলবাবু মোক্ষম সময়ে একটি সংবাদ ছাড়িলেন “সন্তোষ, রবিবাবুও (সেন) নাকি গোলে খেলতে পারেন। কিন্তু বছর কুড়ির মধ্যে মাঠে নেমেছেন বলে তো মনে হয় না?”
সন্তোষদা সঙ্গে সঙ্গে বলিলেন, “আমাদের গোলকিপারের মত খেলতে কুড়ি বছর কি বলছেন, জীবনেও মাঠে নামবার দরকার হয় না। কিন্তু রবিবাবু খেলবেন কি করে?”
প্রতুলবাবু বুঝিতে পারিলেন না, আমরাও না, তাই জিজ্ঞাসা করিলেন, “কেন?”
১৫৮