শচীশবাবু বলিলেন, “বক্সায় যেতে হবে।”
এতবড় একটা ভয়ঙ্কর সংবাদ শুনিবার পরেও আমাকে হাসিতে দেখিয়া শরৎ দাস কহিলেন, “বিশ্বাস হোল না বুঝি?”
কহিলাম, হবে না কেন, আমি কি নাস্তিক? তবে খবরটা কোথায় পেলেন?”
শচীশ সরকারই জবাব দিলেন,—“অতি বিশ্বস্ত সূত্রে!”
—“বিশ্বস্ত সূত্রটি কে?”
—“যে কণ্ট্রাক্টর ভদ্রলোক আমাদের মাল সাপ্লাই করেন, তিনি।”
ইহার পরেও প্রশ্ন থাকে, তাহাই জিজ্ঞাসা করিলাম,—“তিনি জানলেন কেমন করে?”
ইহাতেও আমার প্রতিপক্ষ দমিলেন না, উত্তর দিলেন,—“ভদ্রলোক বেশ অবস্থাপন্ন, পুলিশ ক্লাবে যাতায়াত আছে, সেখানেই শুনেছেন।”
যেন আদালতের কাঠগোড়ায় সাক্ষীকে পাইয়াছি, তাই সহজে নিষ্কৃতি না দিয়া আবার প্রশ্ন করিলাম,—“কি শুনেছেন?”
—“শুনেছেন যে, এখান থেকে একদলকে বক্সা দুর্গে পাঠানো হবে, অর্ডার নাকি এসে গেছে। কাল রাত্রে খবরটা দিয়ে গেছেন, গেট বন্ধ হয়ে যাওয়াতে আপনাকে বলা হয়নি।”
কহিলাম, “লোকটা নিশ্চয় স্পাই।”
—“তা হতে পারে, কিন্তু খবরটা যা দিয়েছেন, সত্য বলেই মনে হোল।”
এই সওয়াল জবাব দাসের মোটেই ভাল লাগিতেছিল না। তিনি বলিলেন,—“আসল খবরটা তো আপনাকে এখন পর্যন্ত বলা হয় নাই।”
ভ্রূকুঞ্চিত করিয়া প্রশ্ন করিলাম, “কি খবর?”
—“ভদ্রলোক জিজ্ঞেস করলেন, অমলবাবু কে?”
এবার সত্য সত্যই আগ্রহ সঞ্চারিত হইল। জিজ্ঞাসা করিলাম, “কেন?”
৯