পাতা:বক্সা ক্যাম্প.djvu/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

কিছুক্ষণ পরেই সাহেবের ভুল ভাঙিল যে, এই ব্যবস্থায় সকলের স্নান শেষ হইতে সায়াহ্ন পর্য্যন্ত অপেক্ষা করিতে হইবে। কাজেই খিড়কীর গেট দেড় ঘণ্টার জন্য খুলিয়া রাখার অর্ডারই শেষে প্রদত্ত হইল।

 কোট্টাম সাহেব দুই কারণে গেট খুলিতে রাজী হন নাই। প্রথম, বন্দীদের বাহিরে আনা বড়ই বিপজ্জনক ঝুঁকি, এই পাহাড়ের কোন পথে কে সরিয়া পড়ে তাহার কোন স্থিরতা নাই। দ্বিতীয়, ইঞ্জিনটাকে একটু ঠুকিয়া-ঠাকিয়া লইলেই সে আবার চলৎশক্তি ফিরিয়া পাইবে, ইহাই ছিল তাঁহার বিশ্বাস।

 কাপড়-গামছা লইয়া খিড়কীর পথে বাহির হইয়া পড়িলাম। রাস্তা ধরিয়া নীচে নামিতে লাগিলাম। দুই ধারে পাহাড়ের উপরে এখানে সেখানে রাইফেল হস্তে সিপাহীরা সামরিক ঘাঁটি আগলাইয়া আছে। ইঞ্জিন ঘরের কাছা-কাছি আসিয়া পড়িলাম।

 দেখিলাম, পুলের রেলিং দুইটা আলনার কাজ দিয়াছে, বাবুদের কাপড় গেঞ্জি, সার্ট ও টাওয়েল সেখানে ঝুলিতেছে। আর একটু আগাতেই দেখি যে, ঝরণার জলে বাবুরা চীৎ হইয়া আছেন, মাথাটা পাথরের উপাধানে রক্ষিত।

 অবশেষে স্থানে পৌঁছিয়া গেলাম। গিয়াই থম্‌কাইয়াইয়া দাঁড়াইলাম, ব্যাপার গুরুতর।

১৮০