পাতা:বক্সা ক্যাম্প.djvu/১৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 কহিলাম, “সাধ্যমত দেখেছি।”

 ধমকের সুরে বক্তা প্রশ্ন করিলেন, “কি দেখেছেন?”

 —“দেখেছি যে, এর পরে রোলকলের সময় আমাদের সীটে থাকতে হবে।”

 বক্তা যেন আমাকে আসামীর কাঠগড়ায় পাইয়াছেন, এমনই মনোভাবে প্রশ্ন করিলেন, “জানেন, এ-প্রস্তাব দুনম্বর কিচেন থেকে পূর্বেই দেওয়া হয়েছিল, তৎসত্বেও কোট্টাম এই অর্ডার দিয়েছে।”

 কহিলাম, “জানি।”

 —“তবে কেমন করে বলেন যে, সীটে থাকতে আমরা রাজী হলেই কোট্টাম রাজী হবে।”

 এই প্রশ্নেরও উত্তর দিলাম, “কোট্টাম যাতে রাজী হয়, সেজন্যই তো জানাতে বলেছি যে, তার অর্ডার মানতে আমরা অক্ষম।”

 ভদ্রলোক প্রত্যুত্তরে অনেক কিছু বলিলেন, তার নির্গলিতার্থ যে, আমি অপরিণামদর্শী, ক্যাম্পকে বিপদের মুখে ঠেলিয়া লইয়া যাইতেছি। কিন্তু আমার বক্তব্য শ্রবণের পর সভার অধিকাংশই সাব্যস্ত করিলেন—আমার প্রস্তাবিত পন্থাই আপোষে পৌঁছিবার সহজ রাস্তা। আপোষের কথাটা কোট্টামের দিক হইতে না-আসা পর্যন্ত আপোষের যখন সম্ভাবনা নাই, তখন ব্যাটাকে আপোষের পথে নামাইতে হইলে নিজেদের ঠিক বিপরীত পথে আক্রমণ করিতে হইবে। অর্থাৎ সাব্যস্ত হইল যে, এ হুকুম আমরা মানি না।

 যাহা ভাবা গিয়াছিল, তাহাই হইল, কিছু টানা-হ্যাঁচড়ার পর কোট্টাম সাহেব আপোষে আসিতে বাধ্য হইলেন। ঠিক হইল যে, রোল কলের পঁয়তাল্লিশ মিনিট আমরা সীটে থাকিব।

 কিন্তু এই ব্যবস্থার মধ্যেও কোট্টাম সাহেব দুদিনের মধ্যেই খুঁত বাহির করিলেন। রোল কলের সময় তাঁহাকে দেখিয়াও বিজয় দত্ত উঠিয়া বসে নাই, টান হইয়া শয্যায় শুইয়া পড়িয়াছিল, এই অপরাধে এক সপ্তাহ তার চিঠি

১৮৭