সতীশঠাকুর ডাক্তারকে ছয় নম্বর ব্যারাকে গিয়া ধরিলেন। পথরোধ করিয়া দাঁড়াইয়া বলিলেন, “ডাক্তরবাবু!”
শান্ত হাসিতে ডাক্তারবাবু উত্তর দিলেন, “বলুন।”
—“ক’দিন যাবত আমার বুকে একটা পেন বোধ করছি।”
ডাক্তারবাবু জিজ্ঞাসা করিলেন, “বুকে ব্যথা? কখন হয়?”
সতীশবাবু বলিলেন, “ঘুম থেকে উঠলেই ভোরবেলা।”
—“দেখি।”
এক টানে গেঞ্জিটা খুলিয়া সতীশঠাকুর পাশের সীটে বসিয়া পড়িলেন। ডাক্তারবাবু বুকটা পরীক্ষা করিয়া দেখিলেন।
পরে বলিলেন, “ব্যথাটা এক জায়গাতেই থাকে, না মুভ করে?”
সতীশঠাকুর জানাইলেন, “না, নানাদিকে ছড়িয়ে পড়ে।”
—“উপর থেকে নীচে নামে, না নীচু থেকে উপরে উঠে?”
সতীশবাবু বিব্রত বোধ করিলেন, বলিলেন, “তাতো ঠিক বলতে পারবো না।”
—“সেটা ভালো করে ওয়াচ করুন। কোথায় প্রথম ব্যথাটা উঠে, কোন দিকে যায়, ভালো করে দেখে রাখবেন।”
“আচ্ছা।”
পরদিন ডাক্তারবাবু যথারীতি ব্যারাকে ঘুরিয়া সতীশঠাকুরদের ঘরে আসিলেন। দেখিলেন যে, সতীশঠাকুর বিছানায় পদ্মাসন করিয়া বসিয়া আছেন।
ডাক্তারবাবু জিজ্ঞাসা করিলেন, “কেমন আছেন? ব্যথাটা ওরাচ করেছিলেন তো?”
“করেছি”, বলিয়া সতীশবাবু গেঞ্জিটা খুলিয়া ফেলিলেন।
বলিলেন, “দেখুন।”
ডাক্তারবাবু ব্যাপার দেখিয়া বিমূঢ় হইয়া গেলেন, কহিলেন, “এ কি?”
২০৮