পাতা:বক্সা ক্যাম্প.djvu/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ডাক্তার গুরুগোবিন্দের পেটেণ্ট বুলি, ঘটনাস্থল বা কোনস্থলে প্রবেশের মুখে এই মন্ত্রটি তনি উচ্চারণ করিতেন। মন্ত্রের অর্থ—“ব্যাপারটা কি শুনি?”

 আর একটু আগাইয়া আসিয়া ডাক্তার প্রশ্ন করিলেন,—“একি, এখানে এরকম করে দাঁড়িয়ে আছেন যে?”

 সতীশবাবু বহুকণ্ঠের আশ্বাসে শ্বাস ফিরিয়া পাইলেন, বলিলেন—“ভূত।”

 —“ভূত? কি বলছেন?”

 —“ঠিকই বলছি।”

 ডাক্তার গুরুগোবিন্দই আবার প্রশ্ন কলিলেন—“আরে মশাই খুলে বলুন না, আপনি ভূত দেখেছেন?”

 —“হাঁ।”

 —“কোথায়?”

 সতীশবাবু সম্মুখে পতিত ডালটা দেখাইয়া দিলেন। ডাক্তার গুরুগোবিন্দ হাসিয়া আশ্বাসের সুরে বলিলেন, “ওটাতো গাছের ডাল।”

 সতীশবাবু কহিলেন,”জানি। ওটা চেপেই তো ঝপাৎ করে উপর থেকে নামল।”

 শ্রোতারা এতক্ষণে সত্যই একটু ভাবিত হইলেন, ব্যাপার একেবারে মিথ্যা নাও হইতে পারে, কিছু একটা নিশ্চয় ঘটিয়াছে। কিন্তু সেই কিছুটা কি?

 এইসবে ডাক্তার গুরুগোবিন্দের মাথাটা খেলে ভালো। গোয়েন্দা কর্মচারীর মত প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিলেন, “ভূতটা গেল কোনদিকে?”

 —“তার আমি কি জানি। আমি ডালে চড়ে তাকে নাবতে দেখেছি, তারপরেই চোখ বন্ধ হয়ে গেছে, দেখব কেমন করে?”

 “আচ্ছা,” বলিয়া ডাক্তার তিন নম্বর ‘বি’ ব্যারাকের অভিমুখে অগ্রসর হইলেন। ঘরে ঢুকিয়া দেখিলেন যে, কে একজন চাদর মুড়ি দিয়া শুইয়া আছে। সীটটা কার, ডাক্তারের জানা ছিল। চাদর উঠাইয়া ধাক্কা দিতে

৮৮