পাতা:বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাস গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).djvu/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

兹

  • . ՏԵ

সোনা ভাবিতে লাগিল,—রুপে চিলের মত ছে৷ মারিয়া নিশাকরের হাত হইতে টাকা লইয়া উপরে সংবাদ দিতে গেল । গৃহটি বেষ্টন করিয়া যে পুষ্পোদ্যান আছে, তাহ অতি মনোরম ৷ নিশাকর সোনাকে বলিলেন, “আমি এ ফুলবাগানে বেড়াইতেছি, আপত্তি করিও না—যখন আসিবে, তখন আমাকে ঐখান হইতে ডাকিয়া আনিও ” এই বলিয়া নিশাকর সোনার হাতে আর একটি টাকা দিলেন । রূপে যখন বাবুর কাছে, তখন বাবু কোন কাৰ্য্যবশতঃ অনবসর ছিলেন, ভূত। তাহাকে নিশাকরের সংবাদ কিছুই বলিতে পারিল না । এ দিকে উদ্যান ভ্রমণ করিতে করিতে নিশাকর একবার উদ্ধদৃষ্টি করিয়া দেখিলেন, এক পরম-সুন্দরী জানালায় দাড়াইয় তাহাকে দেখিতেছে । রোহিণী নিশাকরকে দেখিয় ভাবিতেছিল এ কে ? দেখিয়াই বোধ হইতেছে যে,-এ দেশের লোক নয় ; বেশভূষার রকম সকম দেখিয়া বুঝ। যাইতেছে যে, বড়মানুষ বটে। দেখিতেও সুপুরুষ--গোবিন্দলালের চেয়ে ? না, তা নয় । গোবিন্দলালের রং ফরসা—কিন্তু এর মুখ চোখ ভাল । বিশেষ চোখ । আ মরি! কি মুখ ! এ কোথা থেকে এলে ? হলুদগায়ের লোক ত নয়—সেখানকার সবাইকে চিনি । ওর সঙ্গে দুটা কথা কহিতে পাষ্ট ন ? ক্ষতি কি—আমি ত কখনও গোবিন্দলালের কাছে বিশ্বাসঘাতিনী হইব না । রোহিণী এইরূপ ভাবিতেছিল, এমন সময়ে নিশ। কর উন্নতমুখে উৰ্দ্ধদৃষ্টি করাতে চারি চক্ষু সন্মিলিত হইল । চক্ষে চক্ষে কোন কথাবাৰ্ত্ত হইল কি ন}, তাহা আমরা জানি না, জানিলেও বলিতে ইচ্ছা করি না—কিন্তু আমরা শুনিয়াছি, এমন কথালাৰ্ত্ত হইয়। থাকে । এমন সময়ে রূপে। বাবুর অবকাশ পাইয়। বাবুকে জানাইল যে, “একটি ভদ্রলোক সাক্ষাং করিতে আসি য়াছে।” বাবু জিজ্ঞাসা করিলেন, “কোথ। হইতে আসিস্নাছে ?” রূপো । তাহা জানি না । বাবু। তা না জিজ্ঞাস ক’রে খপর দিতে আসি য়াছিস কেন ? রূপে দেখিল, বোক বনিম্ন। যাই । উপস্তি ত বুদ্ধির সাহায্যে বলিল, “ত জিজ্ঞাসা করিয়াছিলাম । তিনি বলিলেন, ‘বাবুব কাছেই বলিব ।” বঙ্কিমচন্দ্রের গ্রন্থাবলী বাবু বলিলেন, “তবে বল গিয়া, সাক্ষাৎ হইবে এ দিকে নিশাকর বিলম্ব দেখিয়া সন্দেহ করিলেন ধে, বুঝি গোবিন্দলাল সাক্ষাৎ করিতে অস্বীকৃত হইয়াছে । কিন্তু তৃষ্ণুতকারীর সঙ্গে ভদ্রত কেনই বা করি ? আমি কেন আপনিই উপরে চলিয়া যাই না ? এইরূপ বিবেচনা করিয়া ভূত্যের পুনরাগমনের প্রতীক্ষা না করিয়াই নিশাকর গৃহমধ্যে পুনঃপ্রবেশ করিলেন । দেখিলেন সোনা রূপে কেহই নীচে নাই । তখন তিনি নিরুদ্বেগে সিঁড়িতে উঠিয়া, যেখানে গোবিন্দলাল, রোহিণী এব° দীনেশ গঁ গায়ক, সেইখানেই উপস্থিত হইলেন । রূপে। তাঙ্গাকে দেখিয়া দেখাষ্টয়া দিল যে, এই বাল সাক্ষাৎ করিতে চাহিতেছিলেন । গোবিন্দলাল বড় রুষ্ট হইলেন । ল। ] কিন্তু দেখিলেন, ভদ্রলোক । জিজ্ঞাসা করিলেন, “আপনি কে ?” নি । আমার নাম রাসবিহারা দে । গে| নিবাস ? নি । বরাহনগর । নিশাকর জাকিয়। বসিলেন । গোবিন্দলাল বসিতে বলিবেন না । গে। আপনি কাকে খুঁজেন ? নি । আপনাকে ] গে| আপনি তামার ঘরের ভিতর জোর করির প্রবেশ না করিয়৷ যদি একটু অপেক্ষা করি তেন, তবে চাকরেব মুখে শুনিতেন যে, তামার সাক্ষাতের অবকাশ নাই ! নি । পিলক্ষণ অবকাশ দেখিতেছি । ধমকে চমকে উঠিয়। সাষ্টব, যদি আমি সে প্রকৃতির লোক হইতাম, তবে আপনার কাছে আসিতাম না । যখন আমি আসিয়াছি, তখন আমার কথ। কয়ট শুনিলেক্ট আপদ চুকিয়। যায় । গে। ন শুনি, ষ্টকাই আমার ইচ্ছ, তবে যদি তুষ্ট কথায় বলিয়া শেষ করিতে পারেন, তবে বলিয়৷ বিদায় গ্রহণ করুন । নি । তই কথাতেই বলিব । আপনার ভার্য্যা লমর দাসী ঠাকার বিষয়গুলি পত্তনি বিলি করিবেন । দীনেশ গা গায়ক তখন তমুরীয় নূতন তার চড়াইতেছিল । সে এক হাতে তার চড়াইতে লাগিল, এক হাতে আঙ্গুল ধরিয়৷ বলিল, “এক বাত হুয়া!” নি । আমি তাহু। পত্ত্বনি লইব । দানেশ আঙ্গুল গণিয়া বলিল, “দো বাত হুয়৷ ” পৃঝিয়াছিলেন যে,