পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՊԵ, নঙ্কিম-প্রসঙ্গ লিখিতে অনুমতি দিয়া, ঐ পরিচ্ছেদে যাহা লিখিতে হইবে, বলিয়া দিলেন। আমি তখন ঐ হাসির অর্থ বুঝিতে পারি নাই, পরে লিখিতে বসিয়া বুঝিলাম—দেখিলাম, “ব্ৰহ্মার বেটা বিষ্ণু আসিয়া বৃষভারূঢ় মহাদেবের কাছে এক কোঁটা আফিং কর্জ লইয়া এই দলীল লিখিয়৷ দিয়াই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড বন্ধক রাখিয়াছেন, মহাদেব গাজার ঝোকে ফোরক্লোজ করিতে ভুলিয়া গিয়াছেন।” এই পৰ্য্যন্ত লিখিয়াছেন – এই সুরে লেখা আমার অসাধ্য বুঝিয়া আমি এই স্থানে রোহিণীকে আনিয়া কৃষ্ণকান্তের সহিত সাক্ষাৎ করাইলাম, এবং তঁহাদের উভয়ের কথোপকথন আমার সাধ্যমতে লিখিলাম। পরদিন বন্ধুগণ চলিয়া গেলে বঙ্কিমচন্দ্র “কৃষ্ণকান্তের উইল” লিখিতে বসিয়া ঐ পরিচ্ছেদে আমার লেখার প্রথমাংশ অর্থাৎ রোহিণীর সহিত কৃষ্ণকাস্তের আফিমের ঝেণকে কথোপকথন নুতন করিয়া লিখিলেন, আমার লেখার অবশিষ্ট অংশতে “দোমেটোমো” করিতে হয় নাই, তবে এক আধ স্থানে “মাটা” লাগাইয়াছেন। বঙ্কিমচন্দ্রের জন্য কিছুকাল আমাদের পরিবারে প্রায় সকলেরই মধ্যে সাহিত্যানুশীলন অর্থাৎ literary activity জন্মিয়াছিল, কিন্তু “বঙ্গদর্শনে”র বিদায়ের সঙ্গে উহার অবসান হইল । বঙ্কিমচন্দ্র ও দীনবন্ধু উভয়ে আফিসের কি সাহেবস্থভার কথা কহিতে ভালবাসিতেন না, ঐরূপ কথোপকথন তাহাদের ভাল লাগিত না। কিন্তু ডেপুটী ম্যাজিষ্ট্রেট মাত্রেই সাহেবের কথা ও আফিসের কাজ কৰ্ম্মের কথা না কহিয়া থাকিতে পারিতেন না । একরাজিতে কোনও ডেপুটীর বাড়ীতে একটা বড় ভোজ ছিল ;