পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্দ্র ও দীনবন্ধু , b> দলভূক্ত হইয়া খেলা দেখিতে লাগিলাম। বন্ধ্যোপাধ্যায় যে নিঃসহায় ছিলেন, এমন নহে ; তাহারও দলে অনেক লোক ছিল । তন্মধ্যে একটী লোকের পরিচয় দিতে ইচ্ছা করি, কেন না, বঙ্কিমচন্দ্র বাড়ীতে আসিলে কি প্রকৃতির ব্যক্তিদিগকে লইয়া সৰ্ব্বদা আনন্দে । থাকিতেন, তাছা এই পরিচয়ে কতকটা বুঝিতে পরিবেন। এই লোকটি ব্যবসাবাণিজ্য করতেন, কিন্তু বড় মূর্খ ছিলেন ; আবার সেই সঙ্গে এইরূপ অভিমান ছিল যে, চেষ্টা করিলে তিনি বঙ্কিমচন্দ্র ও দীনবন্ধুর হার লেখক হইতে পারেন—সৰ্ব্বদা লিখিবার জষ্ঠ subject' খুজিতেন। একদিন সঞ্জীবচন্দ্র বলিলেন, “আপনি চুত ফল সম্বন্ধে লিখুন, বেশ ভাল subject ” মুখোপাধ্যায় মহাশয় জিজ্ঞাসা করি লেন, "চুত ফল কাহাকে বলে ?” সঞ্জীবচন্দ্র বলিলেন, “আম।” কিছুদিন পরে মুখোপাধ্যায় মহাশয় একটা প্রবন্ধ লিখিয়া আনিয়া আমাদের শুনাইলেন। প্রবন্ধটর প্রথমাংশ আমার মনে আছে, উহ নিম্নে প্রকটিত করিতে ইচ্ছা করি, যদি পাঠকমহাশয়ের রাগ না করেন – ' - “র্তাব অতি মিষ্ট, জাব আবার অতি টক, বাগাতেঁতুলের মত টক, র্তাব অঁাশাল, কোন কোন অঁাব অঁাশাল হয় না, কারণ ভাল গাছের আম আঁশাল হয় না, ইত্যাদি।” এই প্রবন্ধটির পাঠ শেষ হইলে আমাদের জ্যেষ্ঠভ্রাতা শুামাচরণ বাবু গম্ভীরভাবে উহার ভূয়সী প্রশংসা করিলেন; সকলেই প্রশংসা করিলেন, কুিন্তু এক ব্যক্তি হাসি চাপিয়া রাখতে পারিলেন না—তিনি বঙ্কিমচন্দ্র। মুখোপাধ্যায় মহাশয় এই হাসিতে অতিশয় দুঃখিত হইয়া নীরবে বসিয়া রহিলেন ; وي