পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্দ্রের ধৰ্ম্মশিক্ষা సలి পতিত্বে বৃত হইয়া চূড়ামণি মহাশকে শ্রোতাদিগের নিকট পরিচিত করিয়া দিলেন। তার পর দুই একদিনমাত্র উপুস্থিত হইয়াছিলেন, আর যান নাই। তাহার বিবেচনায় চূড়ামণি মহাশয়ের ব্যাখ্যাত ধৰ্ম্ম এক্ষণে এই দেশের উপযোগী নহে। ইহার বহুপূৰ্ব্ব হইতে বঙ্কিমচন্দ্র ধৰ্ম্মানুশীলনে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন। পিতৃদেবের উপদেশে এবং সংস্কৃত গ্রন্থাদি পড়িয়াই তাহার হৃদয়ে প্রথম ধৰ্ম্মের উদ্দীপন হয়। আমাদের মাতামহ সেকালে সংস্কৃত শাস্ত্রে এক জন অদ্বিতীয় পণ্ডিত ছিলেন। তিনি বহুব্যয়ে ও বহু্যত্নে অনেক সংস্কৃত গ্রন্থাদি সংগ্ৰহ করিয়াছিলেন। এই গ্রন্থগুলি সেকালে দুপ্রাপ্য ছিল, এখন ত বটেই। বঙ্কিমবাবুর সংস্কৃতের দিকে বড় ঝোক দেখিয়া আমাদের মাতুল ঐ সমুদয় গ্রন্থ র্তাহাকে দিয়াছিলেন। উহা পাইয়া তিনি প্রত্যেক গ্রন্থখানি নূতন খেরুয়৷ কাপড়ে বাধিয়া একটি আলমারী সাজাইলেন,আলমারী ভরিয়া গেল । ইহার মধ্যে কোন শাস্ত্র না ছিল ! এমন কি, জ্যোতিষ ও তন্ত্রের পুথিও ছিল। সেজন্য তিনি ফলিত-জ্যোতিষ শিখিয়াছিলেন । এই গ্রন্থগুলি পড়িয়াই বঙ্কিমবাবুর সংস্কৃত শাস্ত্রে পাণ্ডিত্য জন্মে। নতুবা ঐরাম ন্তায়বাগীশের টােলে মাঘ, ভারবি, নৈষধ প্রভৃতি কয়েকখানি কাব্য পড়িয়া তাহার সংস্কৃত-বিষ্ঠার খতম হইত। এই সময় হইতেই বঙ্কিমচন্দ্র ইংরাজী গ্রন্থের পঠন ত্যাগ করিয়া কেবল সংস্কৃত গ্রন্থের অধ্যয়নে প্রবৃত্ত হইলেন। তার পর যখন হুগলীতে বদলী হইয় আসিলেন, তখন কয় বৎসর পিতৃদেবের নিকটে থাকিয়া, ধৰ্ম্মসম্বন্ধে শিক্ষা পাইতে লাগিলেন। কিছুদিন চুচুড়ায় থাকিতে হইয়াছিল ;