পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/১২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমুচন্দ্রের ধৰ্ম্মশিক্ষ So y খড়ম ও উপবীত আছে। দীক্ষার পর তিনি গল হইতে উপবীত ও আমার প্রার্থনানুসারে তাহার পায়ের খড়ম দিয়াছিলেন।” পিতৃদেব কখনও তাহার গুরুদেবের কথা কহিতেন না। আজ পুটলী আমাদের দিয়া আদেশ করিলেন, “উহাতে পাথর বাধিয়া অতলম্পর্শে নিক্ষেপ করিবে।” অতলম্পর্শ অনেক দূর, সেই সাগরসঙ্গমে । ততদূর যাইবার সুবিধা হইল না। হুগলীর নীচে ঘোলঘাট খুব গভীর ছিল, ঐ স্থানে পাথর বাধিয়া উহ। নিক্ষেপ করা হইল। পিতা ঠাকুরের মৃত্যুর পর আমরা উহা খুলিয়া দেখিলাম,—একযোড়া খড়ম, উহার বোল হাতীর দাতের, উহা এত বড় যে কলিযুগে মনুষ্যের ব্যবহারোপযোগী নহে ; আর দেখিলাম—উপবীত, স্থতার প্রস্তুত নহে, আমার অগ্রজদের বিবেচনায় উহা কোনও গাছের ছাল । বঙ্কিমচন্দ্র বলিলেন, তিব্বত দেশের গাছের ছাল ; উহা তিন-দণ্ডী ; মধ্যস্থলে একটি গ্রন্থি দ্বারা আবদ্ধ। ঐ উপবীতের প্রত্যেক দণ্ডীর উভয় পিঠে কি লেখা ছিল ; কি ভাষা বুঝা গেল না ; বঙ্কিমচন্ত্রের বোধ হইল উছ তিব্বতী ভাষা । এই খড়ম ও উপবীত দেখিয়া বুঝা যায় যে, আমাদের পিতৃগুরু এক জন সামান্ত মানুষ অথবা বিভূতিমাখা সন্ন্যাসী ছিলেন না-তিব্বতী পাহাড়ের এক জন তাপস ছিলেন । বঙ্কিমচন্ত্রের মৃত্যুর প্রায় দুই মাস পূৰ্ব্বে একদিন ধৰিবারে গড়ের মাঠে বেড়াইতে যাইবার অভিপ্রায়ে তিনি ও আমি বাড়ী হইতে বহির্গত হইয়াছি, এমন সময়ে এক ব্যক্তির সহিত বাটীর সাক্ষনের গলিতে দেখা হইল। তাহার পরিধানে মালকোচামারা গেরুয়া