পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বন্ধুবৎসল বঙ্কিমচন্দ্র ᎼᎼ ☾ প্রায়। শীঘ্রই টেবিলের উপর দীপ জলিতে লাগিল। সকলে টেবিল বেষ্টন করিয়া উপবেশন করিলেন। অতুল রূপ, স্থলর অঙ্গসৌষ্ঠব, অপূৰ্ব্ব কমনীয়তামিশ্ৰিত অসীম প্রতিভা ও পুরুষকারব্যঞ্জক মুখগৌরব লইয়া বঙ্কিমচন্দ্ৰ যেন সম্রাটের স্থায় শোভা পাইতে লাগিলেন। তখন তাহার অন্তরে কি আনন্দ ! হেমচন্দ্র উপস্থিত—অগ্রে রামায়ণ ও মহাভারতের কথা আরম্ভ হইল ; সেই কথা হইতে আরও কত কথা আসিল। বঙ্কিমচন্ত্রের কি মূৰ্ত্তি! স্মৃত্তিতে এই কথা ফুটিতে লাগিল—ইহাই ত মুখ, ইহাই ত জীবন,—এই রকমই ত চাই । সাহিত্যের সংস্রবমাত্রেই বঙ্কিমচন্দ্র সুখী হইতেন। এক শনিবার আফিস হইতে বেলা তিনটা কি চারিটার সময় তাহার কলিকাতার বাসায় গিয়া দেখি, অসুস্থতার জন্য তিনি মেজের উপর শয্যায় গুইয়া আছেন, আর দুইখানা কেদারায় দুইটি যুবক বসিয়া আছেন। একটি যুবককে আমি চিনিতাম। তিনি একখানা ক্ষুদ্র কবিতা-পুস্তক লিখিয়া বঙ্কিমবাবুকে উপহার দিতে গিয়াছিলেন। আমি যাইবার দুই চারি মিনিট পরেই যুবক দুইটি চলিয়া গেলেন। তখন তাহাদের সম্বন্ধে কিছুমাত্র বিরক্তি প্রকাশ করিলেন না দেখিয়া আজি জিজ্ঞাসা করিলাম—’ই হারা কতক্ষণ ছিলেন ? তিনি বলিলেন—‘দুই তিন ঘণ্টা হইবে।” সাহিত্যের সংস্রব ছিল বলিয়াই বঙ্কিমবাবু অত ছোট যুবক দুইটিকে লইয়া অতক্ষণ স্থির ধীর প্রয় ভাবে থাকিতে পারিয়াছিলেন। বুৰাছিলাম, যুৱকদ্বয় তাহার নিকট উৎসাহ প্রাপ্ত হইয়া গিয়াছেন।