পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্দ্রের প্রথম গদ্য রচনা, ১২৫ করিয়া সাহিত্য এখন আর সন্তুষ্ট নহে। যখন সমাজে যে বিষয়ের আন্দোলন হয়, গুপ্ত কবি তখন সেই বিষয়েই কবিতা লেখেন ; সমাজে সাহিত্যে যে ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ, তাহারই প্রমাণ দেন। তাহার পর, বর্ষার সময় বর্ষা-বৰ্ণন, গ্রীষ্মে গ্রীষ্ম-বর্ণন, বড় ঝড় হইলে ঝড়-বর্ণন করেন। ১লা বৈশাখের ‘প্রভাকরে সমগ্ৰ পূৰ্ব্ব বৎসরের ঘটনাবলির কাব্য-চিত্র প্রদান করেন। কেহ খৃষ্টান হইতে গেলে, তখনই তাহার বিদ্রপাত্মক কবিতা রচিত হইল। বিধবা-বিবাহের গোল উঠিল, ঈশ্বর গুপ্ত ক্রমাগত সেই বিষয়ে পদ্য বর্ষণ করিতে লাগিলেন । কবিতা এখন আর নরবানরের যুদ্ধ লইয়া বা কৌরব-পাণ্ডবের বিবাদ লইয়া সন্তুষ্ট থাকৈ না-বাঙ্গালার সকল কথাই এখন বাঙ্গাল কবিতাতে আলোচিত হইতে লাগিল। কবিতা একটি জীবন্ত পদার্থ হইল। বাঙ্গালীর সুখ দুঃখের সহিত বাঙ্গাল কবিতার ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ সকলেই বুঝিতে পারিলেন।” - এই ঈশ্বর গুপ্ত যখন সম্রাটু, তখন বঙ্কিমবাবু নিতান্ত বালক। বালক তখন স্বভাবের সৌন্দৰ্য্য-উপভোগে অভ্যস্ত হইয়া সাহিত্যের রস-উপভোগে ব্ৰতী হইয়াছেন। “প্রভাকরে” পদ্য লিখিতে লাগিলেন। দীনবন্ধু, দ্বারকানাথ, গোপাল মুখোপাধ্যায়, কৃষ্ণসখা । মুখোপাধ্যায়, বঙ্কিমের মত সকলেই ঈশ্বর গুপ্তের সাক্রেদ। বঙ্কিমবাবু নিজে বলিতেছেন— “দেশের অনেকগুলি লব্ধপ্রতিষ্ঠ লেখক প্রভাকরের শিক্ষানবিশ ছিলেন। বাৰু রঙ্গলা বন্ধ্যোপাধ্যায় একজন। বাবুদীনবন্ধু মিত্র আর এক জন। শুনিয়াছি, বাৰু মনোমোহন বস্তু আর এক জন। ইহার