পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৬ বঙ্কিম-প্রসঙ্গ জন্যও বাঙ্গালার সাহিত্য প্রভাকরের নিকটে ঋণী। আমি নিজে প্রভাকরের নিকটে বিশেষ ঋণী। আমার প্রথম রচনাগুলি প্রভাকরে প্রকাশিত হয়। সে সময়ে ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত আমাকে বিশেষ উৎসাহ দান করেন ।” অন্যত্র বঙ্কিমচন্দ্র আবার বলিতেছেন,— “যখন ঈশ্বর গুপ্তের সঙ্গে আমার পরিচয়, তখন আমি বালক স্কুলের ছাত্র, কিন্তু তথাপি ঈশ্বর গুপ্ত আমার স্মৃতিপথে বড় সমুজ্জ্বল। তিনি সুপুরুষ মুন্দরকান্তিবিশিষ্ট ছিলেন। কথার স্বর বড় মধুর ছিল। আমরা বালক বলিয়া আমাদের সঙ্গে নিজে একটু গম্ভীরভাবে কথাবার্তা কহিতেন—ৰ্তাহার কতকগুলা নদী ভৃঙ্গী থাকিত—রসাভাসের ভার তাহাদের উপরে পড়িত। ফলে তিনি রস ব্যতীত একদও থাকিতে পারতেন না। স্বপ্নগীত কবিতাগুলি পড়িয়া শুনাইতে ভালবাসিতেন। আমরা বালক হইলেও আমাদিগকে শুনাইতে ঘৃণা করিতেন না। কিন্তু হেমচন্দ্র প্রভৃতির ন্তায় তাহার আবৃত্তি-শক্তি পরিমার্জিত ছিল না। যাহার কিছু রচনা-শক্তি আছে, এমন সকল যুবককে তিনি বিশেষ উৎসাহ দিতেন, তাহ পূৰ্ব্বে বলিয়াছি। কবিতা-রচনার জন্ত দীনবন্ধুকে, দ্বারিকানাথ অধিকারীকে, এবং আমাকে একবার প্রাইজ দেওয়াইয়াছিলেন। দ্বারকানাথ অধিকারী কৃষ্ণনগর কলেজের ছাত্ৰ-তিনি প্রথম প্রাইজ পান। র্তাহার রচনা-প্রণালীট কতকটা ঈশ্বর গুপ্তের মত ছিল—সরল স্বচ্ছ দেবী কথা দেশী ভাব তিনি ব্যক্ত করিতেন। অল্প বয়সেই তাহার মৃত্যু হয়। জীৰিক্ত