পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্দ্র ও বঙ্গদর্শন - - ১৩৭ বিশ্রামের পর বৈকালে আমরা পিতাপুত্রে গাড়ী কুরিয়া তাহাকে তাহার বাড়ী দেখাইতে লইয়া গেলাম। বাড়ী দেখিলেন, পছন্দ করিলেন, ঠিক চাকর তিনখান কেদার বাহির করিয়া দিল, আমরা তিন জন ক্ষণেক বসিয়া রছিলাম, বাসায় সকলে ফিক্ট্রিা আসিলাম, বঙ্কিমবাবু সে রাত্রি আমাদের বাসাতেই যাপন করিলেন। পিতার সহিত কথাবার্তা চলিল। পরদিন প্রাতে র্তাহার জিনিসপত্র, চাকর ব্রাহ্মণ লইয়া, গাড়ী করিয়া তিনি নিজ বাসায় গেলেন, আমি গাড়ী করিয়া দিলাম, গাড়ীতে তুলিয়া দিলাম। হায়রে হায়! তখনকার কথা মনে পড়িলে, এখনও বুক ফাটে ! এ পর্যন্ত বঙ্কিমবাবু আমার সহিত একটা কথাও কহিলেন না, অধীনের প্রতি কপালকুণ্ডলাকারের করুণা-কটাক্ষ হইল না। বাবা সব বুঝেন, সব জানেন, সব দেখিতেছিলেন, আমি ফিরিয়া উপরে গেলে, বলিলেন, "বঙ্কিম গেল হে ?” আমি বলিলাম, “হঁ৷ ” “তোমার সহিত দুদিনে একটও কথা হয় নাই ?” আমি বলিলাম, “কথা কি, আমি যে একটা জীব, এই বাসায় থাকি, সে খবর হয় ত, তাহাতে এখনও পৌঁছে নাই।” পিতা বলিলেন, “তাই বটে।” বলিয়া উচ্চ হান্ত করিতে লাগিলেন। তাহার হাসির ফোয়ারায় আমার মনের ময়লা ধুইয়৷ গেল ; পিতৃগৌরবে আমি গৌরবান্বিত, আমিও হাসিতে লাগিলাম । . কাছারীর ক্ষেরতা পিতা পুত্র দুই জনে বঙ্কিমবাবুর স্ববিধ, অন্ধবিধা কত দূর হইতেছে দেখিরার জন্য, বঙ্কিমবাবুর বাসায়