পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>登や বঙ্কিম-প্রসঙ্গ ঐযুক্ত শুমাচরণ গাঙ্গুলী মহাশয়ের চেলা ।” তিনি বলিলেন “ও ! তাই বটে। নহিলে সংস্কৃত কলেজ হইতে এমন বাঙ্গল বাহির হইবে না।” সেই মুহূৰ্ত্ত হইতে বুঝিলাম যে, বঙ্কিমবাবু মুরুবিয়ানা ভাবটা একবারে ত্যাগ ক্লরিয়াছেন। সেদিনকার মত গম্ভীর ভাব আর নাই। তিনি আমাকে একবারে আপন করিয়া লইতে চাহেন । আমি । র্তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলাম, “আরও কয়েকটিঙ্গরিচ্ছেদ উহার বাকী আছে, সেগুলি আপনি একবার দেখিবেন কি ?” তিনি বলিলেন, “নিশ্চয়ই ।” আমি আর একদিন তাহার কাছে বাকী অধ্যায় কয়টি লইয়া গেলাম। প্রথম তিন অধ্যায়ই স্মৃতি অথবা তাহার টীকা হইতে লওয়া। কিন্তু বাকীগুলি সমস্তই পুরাণ অথবা কাব্য হইতে লওয়া। এবং পুরাণ ও স্মৃতিতে যতগুলি স্ত্রীচরিত্র ছিল, সবগুলিরই সমালোচনা আছে। তিনি বেশ মন দিয়া পাতা উণ্টইয়া উন্টাইয়া সেগুলি পড়িতে লাগিলেন। শেষে আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, “এগুলি চলিবে কি ?” তাহাতে তিনি উত্তর করিলেন, “যাহা ছাপাইয়াছি, সে রূপা, এ সব কাচা সোনা।” বলিতে কি, সেদিন আমি ভারি খুলী হইয়া বাড়ী ফিরিলাম। তাহার পর যখন নৈহাটা হইতে কলিকাতা যাতায়াত করিতাম, তখন প্রায় প্রত্যহই তাহার কাছে যাইতাম। যখন কলিকাতায় বাসা থাকিত, তখন শনি-রবিবার বৈকালে তাহার কাছে যাইতাম । কাব্যের উপর বঙ্কিমবাবুর খুব ঝোক ছিল। তিনি কলেজ হইতে বাহির হইয়া ভাটপাড়ার শ্রীরামশিরোমণি মহাশয়ের নিকট রঘুবংশ, কুমারসম্ভব, মেঘদূত, শকুন্তলা পডিয়ছিলেন । জাল