পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/১৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૧૪ বঙ্কিম-প্রসঙ্গ ক্লরেন্সের মেডিচিদের কথা কহিতেন। “রিনাইসেন্স” (Renaissance) ইতিহাস তিনি খুব আয়ত্ত করিয়াছিলেন, এবং সেই পথ ধরিয়া বাঙ্গালারও যাহাতে আবার নবজীবনসঞ্চার হয়, তাহার জন্য তিনি বিশেষ আগ্রহ প্রকাশ করিতেন। র্তাহার নিতান্ত ইচ্ছা ছিল, তিনি বাঙ্গালার একখানি ইতিহাস লিখিয়া যান। সেই উদ্দেশ্রেই তিনি “বাঙ্গালীর উৎপত্তি” বলিয়া “বঙ্গদর্শনে” সাতটি প্রবন্ধ লিথিয়াছিলেন । ইতিহাস লিখিতে বসিয়া তাহার কিছু জানিবার দরকার হইলে আমায় বলিতেন, আমিও যথাসাধ্য প্রাচীন পুথি ঘাটিয়া তাহাকে খবর যোগাইয়া দিতাম। এই তিরিশ বছরের মধ্যে বাঙ্গালার ইতিহাস অনেক পরিষ্কার হইয়া উঠিয়াছে। মুসলমানের বাঙ্গালী দখল করিবার পূৰ্ব্বে বাঙ্গালায় যে অনেক বড় বড় রাজত্ব ছিল, এখন তাহার অনেক আভাস পাওয়া গিয়াছে। তখন সব অন্ধকার ছিল, তথাপি বঙ্কিমবাবু বঙ্গদেশে আর্য ও অনাৰ্য্যগণের বাস সম্বন্ধে যে সকল কথা বলিয়া গিয়াছেন, তার চেয়ে এখনও কেহ বেশী কিছুই লিখিতে পারেন নাই । আমার সহিত বঙ্কিমবাবুর যখন প্রথম সাক্ষাৎ হয়, তখন তাহার কপালকুণ্ডলা, দুর্গেশনন্দিনী, বিষবৃক্ষ, চন্দ্রশেখর ও বুজনী ছাপা হইয়া গিয়াছিল। কমলাকান্তের দপ্তর তখনও শেষ হয় নাই। “বঙ্গদর্শন” তিন বৎসর নয় মাসবাহির হইয়াছিল। আমার “ভারতমহিলা” লইয়া বাকী তিন মাস পূর্ণ হয়। চারি বৎসরের পর তিনি “বঙ্গদর্শনের’’ সম্পাদকতা ছাড়িয়া দেন। কেন ছাড়িয়া দেন, অনেকবার জিজ্ঞাসা করিয়াছি, কোন খোলসা জবাব পাই নাই। টাকার অভাবে