পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σ &ίσ’ বঙ্কিম-প্রসঙ্গ সমুদ্রের ধারে বালিয়াড়ি আছে—কেবল বালির ঢিবি-বালিতে চারিদিক্‌ ধু' করিতেছে—রোদে সেই বালি তাতিয়া পথিককে ঝলসাইয়া দিতেছে—এই ভীষণ বালিয়াড়ি যে সুন্দর হইতে পারে, কে বিশ্বাস করিতে পারে ? কিন্তু বঙ্কিমচন্দ্র তাহাতেই কত সৌন্দর্য্য দেখিয়াছেন, চোক যেন যেখান হইতে ফিরিতে চাহে না । বঙ্কিমের এক জন ভক্ত ১২৮৫ সালে বলিয়াছেন,—“বঙ্কিমবাবুর স্বভাব-শোভার কেন্দ্র মনুষ্য । নগেন্দ্রনাথই হউন, অমরনাথই হউন, আর গোবিন্দলালই হউন, বা স্বয়ং বঙ্কিমবাবুই হউন, র্তাহারও নির্লিপ্ত দেখা—যেন সংখ্যমতে পুরুষ নির্লিপ্তভাবে বসিয়া প্রকৃতির রঙ্গ দেখিতেছেন। বঙ্কিমবাবু স্বভাবের শোভার মধ্যে বসিয়া স্বভাবের শোভা দেখিতেছেন, আর কাছে যে থাকে, তাহাকে দেখাইতেছেন—“দেখ কেমন সুন্দর, দেখ কেমন গম্ভীর। স্বভাবের শোভা দেখিয়া ঈশ্বরের প্রেমে তোমার শরীর পুলকীর্ত হউক ।” এইরূপ সুন্দর মানুয লইয়া বঙ্কিমচন্দ্র যে সুন্দর সমাজ গড়িয়াছেন, সে বিষয়ে ভক্তটি বলিয়াছেন – “বঙ্কিমবাবুর সমাজ শিক্ষিত বঙ্গীয় যুবকদিগের সমাজ। তিনি দেখাইয়াছেন, সমাজের বিরোধী কোন কাজ করিয়া কেহ কথন মুখী হইতে পারে না এবং করিলেই আত্মদুষ্কৃতের জন্য সকলকে অনুতাপ করিতে হয়। নগেন্দ্রনাথের অবৈধ-প্রণয়ুজনিত বিধবা" বিবাহের ফল র্তাহার ঘোর আধ্যাত্মিক বিকার। শৈবলিনীর অবৈধ জম্বুরাগের ফল পৰ্ব্বতগুস্থায় প্রায়শ্চিত্ত। গোবিনলাল ও রোহিণীর