পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/২১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

):సె e ৰঙ্কিম-প্রসঙ্গ কাছে শুনিলাম, "মৃণালিণী” সপ্তম সংস্করণে অনেকটা বদল হই য়াছে। দুই জনে পুরাণ ও নূতন পুস্তক লইয়া মিলাইতে লাগিলাম। দেখিলাম, পুরাণ পুস্তকের দুই অধ্যায় একেবারে বাদ দেওয়া হইয়াছে। কয়টমাত্র কথায় দুই অধ্যায়ের উদ্দেশু সফল হইয়াছে। ংস্কৃত শব্দমাত্র-পরিহারের চেষ্টা করা হইয়াছে। আমি রাখালকে বলিলাম, বইটে নাটক ও ভাষাংশে আগেকার চেয়ে ভাল হইয়াছে বটে, কিন্তু একাংশে সাধারণের বোধ হয় কিছু ক্ষতি হইয়াছে। সেক্ষপীয়র প্রভৃতির নাটক লেখার সাময়িক পর্য্যায় ঠিকৃ করিয়া আধুনিক সমালোচকগণ র্তাহাদের মানসিক ক্রমোন্নতির পরিচয় দিতেছেন। বঙ্কিমবাবুর সম্বন্ধে পরবর্তী লেখকদের সে সুবিধা ঘটবে না। একটু পরে বঙ্কিমবাবু আসিয়া পছছিলেন। আমাদের দু’জনকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “কি হচ্চে ?” এবং আমার প্রশ্নমত বলিলেন, মৃণালিনীর অনেক বদলাইয়া দিয়াছেন। তখন আমরা উভয়ে “ষ্টেটসম্যান” হইতে বারাকপুরে সুরেন্দ্রবাবুর অভ্যর্থনা উপলক্ষে সাহেবদের কাপুরুষোচিত ব্যবহারের বৃত্তান্ত পড়িতেছিলাম। বঙ্কিম বাবু হাসিয়া সুধাইলেন—“বারাকপুরের লড়াই পড়ছ না কি ?” আজ নিতান্তই সামান্য কারণে র্তাহাকে অতিশয় রাগিতে দেখিলাম। শুনিলাম, আগে এমন ছিল না। মালদহে থাকিতে মাথার ব্যারাম হয়, সেই হইতে রাগ হইয়াছে, ইহা আর সুধরাইল না। মালদহে মাথার পীড়ার ইতিহাস এইরূপ —যে বাড়ীতে ছিলেন, সেখানে নাকি পূৰ্ব্বে নরবলি হইত। পরিবার সঙ্গে ছিল ন। একদিন এক কঠীতে বসিয়া আছেন. কে জাগিয়া ভয়ানক