পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/২২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমবাবুর প্রসঙ্গ ఏసె(t বলা যায় না।” বঙ্কিমবাবু হাসিলেন। আমি বলিলাম, “শুনেছি, বিষবৃক্ষে আপনার নিজের জীবনের একটা ছবি আছে, ইহা কি সত্য কথা ?” উত্তর—“কতক সত্য বই কি, তবে আসলের উপর অনেক রং ফলাইতে হয়েছে।” একটু পরে বলিলেন, “চাকরী আমার জীবনের অভিশাপ, আর স্ত্রীই আমার জীবনের কল্যাণস্বরূপ " আমি তাহার উপন্যাসের চরিত্রগুলির কথা তুলিলাম। বলিলাম, “স্ত্রীচরিত্রগুলির উৎকর্ষ আপনার বেশী। পুরুষও কয়টা অতি সুন্দর আছে।” অন্যান্ত নামের সঙ্গে বঙ্কিম বাবু অমরনাথের নামও করিলেন । আমি বলিলাম, “অমরনাথ আর প্রতাপ একই চরিত্রের দুইরূপ বিকাশ। বঙ্কিম বাবু বলিলেন, “প্রতাপ বরাবর ঐশ্বৰ্য্যশালী, তথাপি ইন্দ্ৰিয়জয়ী ; কিন্তু অমরনাথ অবস্থার পরিবর্তনে মনঃসংযম করিতে পারিয়াছিলেন।” বললেন, “পূর্ণ বস্তু এইরূপ বুঝাইয়াছেন।” স্ত্রী-চরিত্রের মধ্যে বঙ্কিম বাবুর '. মতে সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট ভ্রমর, “কৃষ্ণকান্তের উইল”_ৰ্তাহার সৰ্ব্বোৎকু{ পুস্তক। আমি বলিলাম, "অনেকে কপালকুণ্ডলাকে সৰ্ব্বোংস্ট্র বলে।” উত্তর—“হা, কাব্যাংশে খুব উচু বটে।” তার পর নিজেই বললেন, “প্রথম তিনখানি রইয়ের জন্ত আমি ইংরেজী সাহিত্যের কাছে খণী, তবে দুর্গেশনলিনী লেখার আগে 'আইভানহো পড়ি নাই। কপালকুণ্ডলা লেখার সময় সেক্ষপীয়র বড় বেশী পড়িতাম। স্বণালিনীর পর কেবল ইতিহাস, দর্শন ইত্যাদি পড়িয়াছি।” চঞ্জশেধরের কথা উরি। আমি বললাম, ভার গল, তার এমন উৎকর্ষ আপনার আর কোনও কাব্যে দেখা যায়" না।