পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/২২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমবাবুর প্রসঙ্গ , २०७ সৌন্দর্য্যের এই সব উপকরণ, ভালবাসার পঞ্চম যে মধুর রস, তাহার নীচের এই সব পরদা তাহারা একেবারে ছাড়িয়া গিয়াছেন।” “চল-চল বালসুলভ সখো”র স্থলে আমি লিখিয়াছিলাম “ঢল ঢল ছেলেমি সখ্য।” শুনিয়া বঙ্কিমবাবু বলিলেন, “দেখতে পাই, রবীন্দ্রের ও তোমার লক্ষ্য বাঙ্গালায় সংস্কৃতমাত্র বর্জন করে কেবল চলতি কথা চালান।” তাহার সঙ্গে কখন তর্ক করিতে পারিতাম না, অপ্রতিভ হইয়া নতমুখে বলিলাম, “কি করতে হবে ?” বঙ্কিমবাবু— ছেলেমি’র জায়গায় বালমূলভ কর।” বঙ্কিমবাবুর মন্তব্য কতটা ঠিক, তাহ তখনকার “বালক” পত্রের প্রবন্ধগুলি পাঠ করিলেই বুঝা যাইবে । এই চৌদ্দ বৎসরে রবীন্দ্রনাথ অসাধারণ প্রতিভাবলে নুতন পথ খনন করিয়া পদ্য ও গদ্যের ভাষায় অভূতপূৰ্ব্ব ঝঙ্কার ও ওজস্বিতার সঞ্চার করিয়া দিয়াছেন। আমি কিন্তু আজিও সোজা সরল ভাষার মোহ সম্পূর্ণ ভূলিতে পারি নাই। সরস্বতীপূজার দিন কৃষ্ণনগর হইতে আসিয়া সন্ধ্যার পর বঙ্কিমবাবুর সহিত দেখা করিতে গেলাম। তখন কলুটোলায় সেন মহাশয়দের বাড়ীর কাছে তাছার বাস। উপরের বৈঠকখানায় পীড়িত শ্যামাচরণ বাবু শয্যাগত, নীচে রাখালের ঘরে একপাশ্বে সঞ্জীববাবু ও রুল্পশয্যার কাছে বমি বাৰু। রাজকুমারবাবু এবং ঔপন্যাসিক দামোদর বাবু বসিয়াছিলেন। শেষোক্ত কিছুদিন পূৰ্ব্বে খামাচরণবাবুর বৈবাহিক হইয়াছিলেন ; অতএব উভয় ভ্ৰাতায় মিলিয়া নূতন বৈবাহিকের সঙ্গে রহস্তে