পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/২৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্দ্র ૨ ૨૨ সম্মুখে ঐ বিষয়ে ঘোর প্রতিবাদ করেন ; তাহারা এই মতকৈ ঘোর জডুবাদ (materialism) বলিয়া মনে করিতেন। রামকৃষ্ণ পরমহংসের শিষ্য বিখ্যাত বিবেকানন্দ স্বামীও এ মতের বিরুদ্ধে সর্বত্র প্রবল প্রতিবাদ করিয়া থাকেন। খাদ্য-তত্ত্বের জ্ঞান না হইলে হিন্দুধর্মের প্রচার সত্য সত্যই বিড়ম্বনা। পূৰ্ব্বোক্ত ঘটনার সংঘটন-কালের দুই এক বৎসর পূৰ্ব্বে ইন্টরন্যাশন্যাল এগজিবিশন ক্ষেত্রে বঙ্কিমবাবুর সঙ্গে আমার সহসা সাক্ষাৎ হয়। সে সময় তিনি আমাকে তাহার সঙ্গে একবার দেখা সাক্ষাৎ করিতে বলেন। আমি তখন কাৰ্য্যগতিকে তাহার অনুরোধ রক্ষা করিতে পারি নাই। তৎপরে সুপ্রসিদ্ধ “নবজীবন”সম্পাদক বাবু অক্ষয়চন্দ্র সরকার মহাশয় বঙ্কিমবাবু কর্তৃক প্রেরিত হইয়া আমাকে তাহার সঙ্গে সাক্ষাৎ করিবার জন্য অনুরোধ করেন। বঙ্কিমবাবু কাহারও মুখে শুনিয়াছিলেন, আমি কোনও প্রকার যোগাভ্যাস করি। তৎসম্বন্ধে কথাবার্তা কহিবার জন্য আমাকে প্রয়োজন হইয়াছিল। সেই জন্যই অক্ষয়বাবু বঙ্কিমবাবু কর্তৃক প্রেরিত হইয়া আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কিন্তু বঙ্কিমবাবুর সঙ্গে এ সম্বন্ধে কোনও কথাবার্তা কহিতে আমার কোনও গুরুজনের বিশেষ নিষেধ-আজ্ঞা ছিল। অামি র্তাহার স্বাঙ্গাৰীন হইয়া বন্ধুিবাবুর সঙ্গে দেখা করিতে ও তাহার কৌতুহল চরিতার্থ করিতে অসমর্থ, ইহা অামি অক্ষবাবুর দ্বারা বঙ্কিমবাবুকে বলিয়া পাঠাইলাম। তার পর দুর্ভিক্ষ উপলক্ষে বঙ্কিমবাবুর সঙ্গে রেজিষ্টারী আফিসের বাটতে জামাদের