পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/২৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্দ্র ২৩৩৮ নববিধান-প্রচারক শ্রদ্ধাস্পদ বাবু প্রতাপচন্দ্র মজুমদার একদন বঙ্কিমবাবুকে কৃষ্ণচরিত্রে বৈরাগ্যের অভাবের কথা বিশেষরূপে উল্লেখ করিয়া বলেন যে, ঐকৃষ্ণের বৈরাগ্যহীন জীবন কিরূপে লোকের চিত্তবৃত্তি আকর্ষণ করিবে? এ কথায় বঙ্কিমবাবু প্রায় নিরুত্তর হন। বস্তুতঃ প্রসিদ্ধ ধৰ্ম্মসংস্থাপকমাত্রই বিরাগী। বুদ্ধদেব ও চৈতন্যপ্ৰভু বৈরাগ্যের চূড়ান্ত দৃষ্টান্তস্থল। ঈশ, মহম্মদ, নানকও বৈরাগ্যের বড় সামান্ত দৃষ্টান্তস্থল নহেন। ভারতের সমস্ত ধৰ্ম্ম-সংস্থাপকেরাই সন্ন্যাসী। এক বুদ্ধদেব ব্যতীত ইহারা সকলেই ভক্ত-বিশ্বাসী। বুদ্ধচরিত্ৰুে ভক্তি বিশ্বাসের অভাব কেবলমাত্র এক বৈরাগ্য দ্বারা পূর্ণ হইয়াছে। এই সকল কথাবাৰ্ত্তার সময় বঙ্কিমবাবু কখনও অনর্থক বাগবিতণ্ডার দ্বারা আত্মপক্ষ সমর্থন করিবার চেষ্টা করিতেন না। ইহা তাহার গভীর সত্যনিষ্ঠার পরিচায়ক, সন্দেহ माझे । একদিন আমি কথাপ্রসঙ্গে বঙ্কিম বাবুকে বলিলাম যে, আপনি । কৃষ্ণ-চরিত্রকে দুরপনেয় কলঙ্করাশির আবর্জনা হইতে উদ্ধার করিবার চেষ্টা করিয়াছেন, তজ্জন্ত অবশ্যই আপনি বৰ্ত্তমানের, বিশেষতঃ ভবিষ্যতের বিশেষ কৃতজ্ঞতার পাত্র হইয়াছেন। কিন্তু এ সম্বন্ধে আপনার চেষ্ট্র প্রথম ও সৰ্ব্বাগ্রবর্তী নহে। আপনার পূৰ্ব্বে স্বামীজী প্রমদানন্দ সরস্বতী এ বিয়ে প্রথম চেষ্টাপর হন। তৎপরে মহা কেশবচন্দ্র সেনের দল হইতে ধৰ্ম্মতত্ত্ব" পত্রিকায় একবার কৃষ্ণচরিত্র