পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/২৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

राक्लिभल्लछ ২৩৫ একদিন বঙ্কিম বাবুর বাসায় তাহার সঙ্গে দেখা করিতে যাইতেছি, পথিমধ্যে এক জন একখানি হ্যাণ্ডবিল আমার হস্তে অর্পণ করিল। তাহাতে শ্রদ্ধাস্পদ প্রতাপচন্দ্র মজুমদার মহাশয়ের সিকাগো মহামেলা হইতে প্রত্যাগমন উপলক্ষে হাবড়ার রেলওয়ে-ষ্টেশনে তাহাকে সম্মাননা ও অভ্যর্থনার জন্য বহুসংখ্যক লোকের সমাগম উদিষ্ট হইয়াছিল। আমি সেখানি বঙ্কিম বাবুকে দেখিতে দিলাম। বঙ্কিম বাবু তাহার অভ্যর্থনার্থ যথাসময়ে তথায় যাইবার জন্য সমুৎসুক হইলেন, এবং আমাকে নির্দিষ্ট সময়ের পূৰ্ব্বে আসিয়া তাহার সঙ্গে মিলিত হইয়া যাইতে পারি কি না, জিজ্ঞাসা করিলেন। অভ্যর্থনার দিন এক মাঘের একাদশ দিবস। আমি বলিলাম যে, আমার শরীরে কোনও প্রকার হিম সহ হয় না ; আমি ইচ্ছাসত্ত্বেও অভ্যর্থনাস্থলে উপস্থিত থাকিতে পারিব না। তাহাতে বঙ্কিমবাবু বলিলেন যে, “আমার কিন্তু ঠিক ইহার বিপরীত। আমার খুবই হিম সহ্য হয়, কিন্তু রৌদ্র আদবেই সহ্য হয় না। একটু রৌদ্র গায়ে লাগিলে আমার দেহ অমুস্থ হইয়া পড়ে।” একদিন দেখিলাম,-ৰ্তা হার যুবক দৌহিত্র সে দিন বিকালে প্রথম শ্বশুরালয়ে গমন করিবে— তিনি দৌহিত্রটকে গাড়ীতে তুলিয়া দিতে গেলেন। গাড়ীট র্তাহার বাটীর বহিষ্কারে দণ্ডায়মান ছিল, এবং দৌহিত্রটকে