পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/২৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্ত্র ఇలిన হইতে পারেন।” এ কথায় তিনি বলিলেন,—“কালীনাথ, তুমি কখনও মনে স্থান দিও না যে, ও দল আর কখনও মাথা তুলিয়া দাড়াইতে পারিবে। উহার যে অবসাদ-দশা এখন উপস্থিত হইয়াছে, সে দশার আর কখনও প্রতিক্রিয়া উপস্থিত হইবার সম্ভাবনা নাই।” শ্রদ্ধাস্পদ গৌরগোবিন্দ রায়ের “কৃষ্ণচরিত্র" সম্বন্ধে তিনি বলিয়াছিলেন যে, "গৌরবাবু এক জন সুপণ্ডিত লোক ; শাস্ত্রাদিত্তে তাহার বিশেষ দৃষ্টি আছে। এ জন্য র্তাহার কৃষ্ণচরিত্র যেমন ঘটনাপূর্ণ হইয়াছে, তেমনই যুক্তি দ্বারা তিনি সেই সমস্ত ঘটনাবলীর বাস্তবিকতা ও শাস্ত্রোদ্ধত বাক্যের মৌলিকতা প্রতিপন্ন করিবার চেষ্টা করেন নাই।” শ্রদ্ধাস্পদ ত্রযুক্ত দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাঙ্গালা লেখা সম্বন্ধে বঙ্কিমবাবু একদিন এই মন্তব্য প্রকাশ করিলেন যে, তিনি সাধু ভাষায় শব্দ বিন্যাস করিতে করিতে সহসা এক আধটা প্রচলিত ইতর শব্দ স্বেচ্ছাপুৰ্ব্বক তন্মধ্যে ব্যবহার করিয়া ভাষার লালিত্য নষ্ট করিয়া ফেলেন। দাদার লিখন-প্রণালীর সমর্থন করিবার জন্ত কবিবর বাবু রবীন্দ্রনাথ একদিন বঙ্কিমবাবুর সঙ্গে অনেক বিতণ্ডা করিয়াছিলেন। সঙ্গীবাবু (বঙ্কিমবাবুর মধ্যম ভ্রাতা) “জাল প্রতাপচাদ" অভিধেয় একখানি পুস্তিকা প্রকাশ করিয়াছিলেন। বৰ্দ্ধমানাধিপতি মহারাজ তিলকচন্দ্রের "প্রতাপচাদ" নামক একটী পুত্র ছিলেন। তিনি কোনও কারণে সংসারের প্রতি বিরক্ত হইয়!