পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্দ্র vළු করিয়া তুলিল। বঙ্গভাষী সহসা বাল্যকাল হুটুতে যৌবনে উপনীত रुझेण । আমরা কিশোরকালে বঙ্গসাহিত্যের মধ্যে ভাবের সেই নবসমাগমের মহোৎসব দেখিয়াছিলাম ; সমস্ত দেশ ব্যাপ্ত করিয়া যে একটা আশার আনন্দ নূতন হিল্লোলিত হইয়াছিল তাহ অনুভব করিয়াছিলাম ; সেই জন্য আজ মনে মধ্যে মধ্যে নৈরাশু উপস্থিত হয়। মনে হয় সে দিন হৃদয়ে যে অপরিমেয় আশার সঞ্চার হইয়াছিল তদনুরূপ ফললাভ করিতে পারি নাই। সে জীবনের বেগ আর নাই। কিন্তু এ নৈরাপ্ত অনেকটা অমূলক। প্রথম সমাগমের প্রবল উচ্ছাস কখনও স্থায়ী হইতে পারে না। সেই নব আনন্দ নবীন আশার স্মৃতির সহিত বর্তমানের তুলনা করাই অন্যায়। বিবাহের প্রথম দিনে যে রাগিণীতে বংশীধ্বনি হয় সে রাগিণী চিরদিনের নহে। সে দিন কেবল অবিমিশ্র আনন্দ এবং আশা, তাহার - পর হইতে বিচিত্র কৰ্ত্তব্য মিশ্রিত দুঃখসুখ, ক্ষুদ্র বাধাবিঘ্ন, আবৰ্ত্তিত বিরহমিলন—তাহার পর হইতে গভীরগম্ভীরভাবে নানাপথ বাহিয়া নানা শোকতাপ অতিক্রম করিয়া সংসারপথে অগ্রসর হইতে হইবে, প্রতিদিন আর নহবৎ বাজিবে না । তথাপি সেই একদিনের উৎসবের স্মৃতি কঠোর কর্তব্য-পথে চিরদিন অক্ষান্দ সঞ্চার করে । বঙ্কিমচন্দ্র স্বহস্তে · বঙ্গভাষার সহিত যে দিন নবযৌবনপ্রাপ্ত ভাবের পরিণয় সাধন করাইয়াছিলেন সেই দিনের সর্বব্যাপী প্রফুল্লতা এবং আনন্দ উৎসৰ আমাদের মনে আছে। সে দিন জার