পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৩০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমবাবু। আশৈশব শুনিয়া আসিতেছি—বঙ্কিমবাবু। পরমারাধ্যা জননী দেবীর মুখে শুনি বঙ্কিমবাবু, অগ্রজদিগের মুখে শুনি বঙ্কিমবাবু । তাই এই প্রবন্ধের নামকরণ করিলাম— বঙ্কিমবাবু। তাহার সম্বন্ধে আমার যেটুকু স্মৃতি, তাহাই জ্ঞাপন করা এ প্রবন্ধের উদ্দেশ্য। তবে এ স্মৃতি আমার পিতৃদেব ৮দীনবন্ধু মিত্ৰেং স্কৃতির সহিত কতক জড়িত। সম্প্রতি একদিন আমার কোনও বন্ধু জিজ্ঞাসা করিলেন, “মহাশয়, বঙ্কিমবাবুর রং কি কাল ছিল ?” আমি জিজ্ঞাস করিলাম, “আপনি কাল বলিতেছেন কেন ?” তিনি বলিলেন, “আমি তাহার দাড়ি গোফ কামান, চোগাচাপকন আবৃত চেহারা দেখিয়াছিলাম, তাহার রং কালই বোধ হইয়াছিল।" এরূপ ধারণা হয় ত আরও অনেকের থাকিতে পারে, সেই জন্ত প্রথমেই র্তাহার বর্ণের কথা বলিব। র্তাহার গুরুর ভাষায় বলা যাইতে পারে, তাহার রং “কষিত কাঞ্চনে”র দ্যায় ছিল। বিয়াল্লিশ বৎসরের অধিক হইবে, একদিন বঙ্কিমবাবু আমার পিতৃদেবের সহিত গল্প করিতেছিলেন। দুই জনে দুটি তাকিয় ঠেসান দিয়া অৰ্দ্ধ-শান্বিত ছিলেন। বঙ্কিমবাবুর গায়ে একটি পাতলা দুগ্ধফেননিভ লংক্লথের কোট ছিল। তাহ ভেদ করিয়া তাহার রং ফুটিয়া বাহির হইতেছিল। র্তাহার নিজের