পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৩১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२ 5 २ বঙ্কিম-প্রসঙ্গ মহাপুরুষ শবের নিকট গমন করিয়া শব নিরীক্ষণ করিড়ে লাগিলেন। যাদবচন্দ্রের বয়স তখন প্রায় অষ্টাদশ বর্ষ হইয়াছিল। কষিত কাঞ্চনের দ্যায় তাহার কাস্তি ছিল। সে অবস্থাতেও তাহার অপরূপ সৌন্দর্য্য বস্ত্রভেদ করিয়া বিকশিত হইতেছিল। অগ্রজ মহাপুরুষের চরণপ্রান্তে উপবিষ্ট হইয়া সকল বিব: তাহার গোচর করিলেন। মহাপুরুয় যুবকের রূপে আকৃষ্ট হইয় তাহার শবদেহ পরীক্ষা করিয়া বলিলেন যে, যুবক জীবিত আছে, এবং তাহার দেহের উপর কর সঞ্চালন করিয়া তাহাকে উপবেশন করিতে আদেশ করিলেন । সকলের বিস্ময় উদ্রিক্ত করিয়া সেই রাশায়িত দেহ পূনর্জীবিত হইল! পুনর্জীবিত হইয়৷ যাদবচন্দ্র দুই হস্তে মহাপুরুষের পাদদ্বয় বেষ্টন করিয়া তাহার নিকট শিষ্যত্ব ভিক্ষা করিলেন। নহাপুরুষ তাঙ্গর প্রতি কৃপাপরবশ হইয় তাহার গুরু হইতে স্বীকৃত হইলেন। শুশানক্ষেত্র দীক্ষণক্ষেত্রে পরিণত হইল। দীক্ষান্তে যাদবচন্দ্র মহাপুরুষের অনুগমন করিবার জন্য বিশেষ আগ্রহ দেখাইলেন। কিন্তু মহাপুরুষ কিছুতেই সন্মত হইলেন না। তিনি বলিয়াছিলেন, “তোমার সন্ন্যাস-গ্রহণের অধিকার হয় নাই ; তোমার সংসারে অনেক কাজ আছে, তুমি গৃহে প্রতিগমন কর।” যাদবচন্দ্র। অগত্য গৃহে প্রত্যাগমন কারতে স্বীকার করিলেন । কিন্তু গুরুদেবের নিদর্শন রাখিবার ইচ্ছ। তদীয় চরণে নিবেদন করি লেন। গুরু যাদবচন্দকে স্বীয় খড়ম ও পৈত প্রদান কবিলেন। ভক্ত শিষ্য ইহাতে ক্ষণস্ত হইতে পারিলেন না। তিনি গুরুদেবের