পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৩১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্দ্রের পিতৃকাহিনী *Rసె(t বলিতেছেন, “আমি কি এখানেই ভাছি ?—সেখানে নাই ?” এ ঘটনায় তিনি বড় বিচলিত হয়েন, এবং তীর্থদর্শনাভিলাষে জলাঞ্জলি দিয়া কাটালপাড়ায় প্রত্যাগমন করিয়া রাপাবল্লভের প্রাঙ্গনে শিশুর দ্যায় গড়াগড়ি দিয়া রোদন করেন। ততঃপর তিনি আর কোনও তীর্থে গমন করেন নাই। এমন কি, পবিত্রসলিল স্বরধনী ভবনের উপকণ্ঠবাহিনী ইলেও, সেই পুণ্য প্রবাহেও কখনও অবগাহন করেন নাই । পুত্র-পৌত্র পেষ্টত হইয়া মুখে দিনপাত করিতে করিতে মৃত্যুর ছায়া তাঙ্গাকে স্পর্শ করিল। তিনি জরাক্রান্ত হইলেন । পীড়া ংঘাতিক বলিয়া সকলে অনুমান করিলেন, এবং অন্তিমকালে তাহাকে তীরস্থ করিবার জন্ত গৃহ হইতে বাহির করা হইল তখনও তাহার জ্ঞানালোক একেবারে অস্তমিত হয় নাই ; তিনি পুলগণকে সম্বোধন করিয়ু বলিলেন, “আমাকে গঙ্গাভিমূপে কেন লষ্টয়া যাইতেছ ? রাধাবল্লভের মন্দিরে লক্টরা চল, এবং যতক্ষণ জীবিত থাকি, রাধাবল্লভের চরণতলে রাথিয়া দিও।” তাহার আদেশমত কার্যা করা হঠলে, তিনি রাধাবল্লভের দিকে সতৃষ্ণনয়নে দৃষ্টিপাত করিয়া দুরবিগলিতধারার কাদিতে লাগিলেন। শিশু যেমন পিতার নিকট আবদার করে, সেইরূপ করিয়াছিলেন। অনেক কথা বলিয়াছিলেন, এবং আক্ষেপ করিয়াছিলেন যে বঙ্কিমকে একটি পুত্ৰ সন্তান দিলেন না। তিনি তীরস্থ হইতে সম্মত ছিলেন না। কিন্তু গ্রামস্থ প্রাচীন ব্রাহ্মগণ জানাইলেন যে তীরস্থ হইতে অসম্মত হক্টলে ভবিষ্যতে র্তাহার পুত্ৰগণকে কলঙ্ক