পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৩৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম-প্রসঙ্গ ৩২৯ অশ্রুর উদগমও দেখিয়াছি। রাজকৃষ্ণ বাবুর ক্ষুদ্র “বাঙ্গালার ইতিহাস” বাঙ্গালা সাহিত্যের গৌরব । তাছাই আমাদের ইতিহাসের ভাণ্ডারে প্রথম “বিধি-দত্ত ধন” । তাহার “নানা প্রবন্ধ” বাঙ্গালী এখন পড়েন কি না জানি না ; কিন্তু আমরা এখনও পড়ি । রাজকৃষ্ণরাবুই প্রথমে বিদ্যাপতিকে সাহস করিয়া ‘বাঙ্গালী’ বলিয়াছেন । বিদ্যাপতি তাহার বড় প্রিয় ছিল। রাজকৃষ্ণবাৰু বিদ্যাপতির মিথিলাকে তখনকার বাঙ্গালার সামিল করিয়া মৈথিল কবিকে বাঙ্গালী বলিতেন। বঙ্কিমের পতাকামূলে স্বদেশের রত্নোদ্বারের জন্ত যাহার সমবেত হইয়াছিলেন রাজকৃষ্ণ তাঙ্গদের অন্যতম। আমৱা যেন এই সকল পুণ্যশ্লোককে কখনও i ভুলি। বর্তমানের দীপ্তি অত্যন্ত উজ্জ্বল, মনোরম, সন্দেহ নাই কিন্তু অতীতের তান্ধকারও পবিত্র ; বৰ্ত্তমান অতীতকে আবরণ করিয়া যে যবনিকা বিস্তুত করিতেছে, তাহার অন্তরালে আমাদের পূৰ্ব্বগামীদের যত্ন-সঞ্চিত বত্ব আছে, তাঙ্গ যেন আমরা তুলিয়া না যাই । এই দিন বঙ্কিম বাবুকে জিজ্ঞাসা করিলাম,- “আপনি কি বিশেষ্যের লিঙ্গ অনুসারে বিশেষণের লিঙ্গ দেন ? আপনার লেখার কোথাও কোথাও এই রকম দেখিতে পাই ; সর্বত্র নয়।” বঙ্কিম বাবু আপনার দক্ষিণ কৰ্ণে দক্ষিণ হস্তের তজ্জনী স্থাপন করিয়া বলিলেন,—“কান । আমার প্রমাণ – কান। যা কানে ভাল লাগে, তাই লিখি, অত নিয়ম মানিতে গেলে চলে না।” আমরা আজ কাল এই নিয়মেই চলিতেছি । সৰ্ব্বত্র কানষ্ট