পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৩৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৩২ বঙ্কিম-প্রসঙ্গ সে দিন তাহাকে বেশ প্রসন্ন দেখিয়া আমি তাহাকে মূীর চিঠির কথা বলিলাম । অক্সফোর্ডের –মোক্ষমূলরের উক্ষতোরণের মনীষী ও সাহিত্য রসিক ছাত্রসম্প্রদায় অনুবাদে বঞ্চিমবাবুর উপন্যাসের আস্বাদ পাইয়া ছাপাইবার অনুরোধ করিয়াছিলেন, ইহাতে আমরা একটু গৰ্ব্ব অনুভব করিয়াছিলাম। জাতির গৌরব মনে করিয়া প্রফুল্ল হইয়াছিলাম। মনে করিয়াছিলাম, শুনিয়া বঙ্কিমবাবুও আনন্দিত হইবেন । কিন্তু বঙ্কিমবাবুর কোনও ভাবান্তর দেখিলাম না । তিনি আনন্দ প্রকাশ করিলেন না, সন্মতিও দিলেন না ! আমি অত্যন্ত নিরুৎসাহ হইয়া বলিলাম, “কেন ?” বঙ্কিমবাবু গড়িয়ার কাঠের নলটি মুখ হইতে না মাষ্টয়া স্মিতমুখে বলিলেন, “না।” আমি বলিলাম, “মুরীর আশা করিয়া লিখিয়াছে। তাহারা দুঃখিত হইবে ;–হয় ত বিদেশী সহপাঠীদিগের কাছে অপ্রস্তুত হইবে । ইহাতে আপনার ক্ষতি কি ?" বঙ্কিমবাবু বলিলেন, “আমি অনেক ভাবিয়া দেখিয়াছি । একবার মনে করিয়াছিলাম, আমার বঙ্গিগুলির ইংরাজী করিয়া ছাপাইব । পরে স্থির করিয়াছি, না ছাপাই ভাল।” আমি বিস্মিত হইয়া বলিলাম, “কেন ?” বঙ্কিমবাবু বলিলেন, ‘রমেশ তথন বিলাতে ছিলেন। আমি র্তাহাকে বিলাতের Publisherদের সঙ্গে পরামর্শ করিতে লিথিয়ছিলাম। উত্তরে রমেশ লিখিলেন, Publisherরা নিজের