পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y R বঙ্কিম-প্রসঙ্গ অদ্ভূক্ত আতিশযে অসঙ্গতন্ত্রপে স্ফীতকায়। তাহার মধ্যে যেটুকু আলোকের লেশ আছে ধূমের অংশ তাহার শতগুণ। যাহাদের ক্ষমতা অল্প তাহার প্রায় সাহিত্যের এই প্রধূমিত কাল্পনিকতার আশ্রয় লইয়া থাকে—কারণ ইহা দেখিতে প্রকাও কিন্তু প্রকৃতপক্ষে অত্যন্ত লঘু। এক শ্রেণীর পাঠকের এইরূপ ভূৱিপরিমাণ কৃত্রিম কাল্পনিকতার নৈপুণ্যে মুগ্ধ এবং অভিভূত হইয় পড়েন, এবং দুর্ভাগ্যক্রমে বাংলায় সেই শ্রেণীর পাঠক বিরল নহে। এইরূপ অপরিমিত অসংযত কল্পনার দেশে বঙ্কিমের ন্তায় আদর্শ আমাদের পক্ষে অত্যন্ত মূল্যবান। কৃষ্ণচরিত্রে উদাম ভাবের আবেগে তাহার কল্পনা কোথাও উচ্ছখল চইয়া চুটিয়া যায় নাই। প্রথম হইতে শেষ পর্যন্ত সৰ্ব্বত্রই তিনি পদে পদে আত্মসংবরণ পূৰ্ব্বক যুক্তির সুনির্দিষ্ট পথ অবলম্বন করিয়া চলিয়াছেন। যাহা লিখিয়াছেন তাহাতে তাহার প্রতিভা প্রকাশ পাইয়াছে, যাহা লিখেন নাই তাহতেও তাহার অল্প ক্ষমতা প্রকাশ পায় মাই। - বিশেষত বিষয়টি এমন যে, ইহা কোন সাধারণ বাঙ্গালী লেখকের ছন্তে পড়িলে তিনি এই মুযোগে বিস্তর হরিহরি, মরিমরি, হায় হয়, অগ্রপাত ও প্রবল অঙ্গভঙ্গী করিতেন এবং কল্পনার উচ্ছ,সি, ভাবের আবেগ এবং হৃদয়তিশষ্য প্রকাশ করিবার এমন অমুকুল অবসর কখনই ছাড়িতেন মা ; সুবিচারিত তর্ক দ্বার, সুকঠিন সত্যনির্ণরে পৃহা দ্বারা পদে পদে জাপর লেখনীকে বাধা দিতেন না; সৰ্ব্বজনগমা সাল পৰ ছাড়িারি স্বশ্বছি বার স্বকপোলকল্পিত একটা নূতন আবিষ্কারকেই সর্বপ্রাধান্ত দিয়া তাহাকে বাকপ্রাচুর্য্যে