পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৩৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শল্পিশিষ্ট্র—১ম বঙ্কিম দ্বাদশবার্ষিকী সম্মুখে পবিত্রসলিলা ভাগীরথী। মুরতরঙ্গিণীর দুই পারে দুই চিতা প্রজ্জ্বলিত। পশ্চিমে গগন-হুর্য্যের চিত নিঃশব্দে জলিতেছে। পূৰ্ব্বপারে বঙ্গসাহিত্য-স্বর্ঘ্যের চিত ব্যুশন্ধে প্রযুরিত হইতেছে। দুই চিতার আলোকে সমস্ত নীলাকাশ পিঙ্গলবর্ণ, গঙ্গার ধবলধারা পাটলীকৃত। দুষ্ট চিতা দুই পারে নিবিল। তমোময়ী রজনী পুত্ৰশোকাতুরা জননীর ন্তায় চিতাচিন্তু দেখিতে আসিলেন। সেই অন্ধকারে বঙ্গে তেরশত (১৩১- ) অব্দের চৈত্রমাসের ষড়বিংশ দিবস ডুবিয়া গেল। পরদিনে গগন-স্বৰ্য্য নবীনকিরণে পূৰ্ব্বাকাশ উদ্ভাসিত করিয়া আবার গগনে উদিত হইলেন। কিন্তু বঙ্গের সাহিত্যগগনে সেই বরেণ্য স্বৰ্য্য আর উঠলেন না। দিনের পর দিন গেল, মাসের পর মাস গেল, ঋতুর পর ঋতু কাটিল, বংসরের পর বৎসর যুরিল। দেখিতে দেখিতে দ্বাদশ বর্ষ পূর্ণ হইল। আজ সেই ২৬শে চৈত্র। চক্ষের সম্মুখে হৃদয় বিদারক সেই সূৰ্য্যাবসানেৰ চিত্র। চতুর্দিকে আবার সেই শোকভার—যামিনীর অন্ধকার। বঙ্গের এই গভীর নৈশ অন্ধকার দূর করিতে বঙ্গের সেই হিরণ্যবণ জ্যোতিৰ্ম্ময় পুরুষ আর উদিত হইবেন না । হে বঙ্গসাহিত্যগুরু, জ্ঞানের আনন্দালোক লইয়া তুমি আর আমাদের নেত্রপথে আবির্ভূত হইবে না। তোমার পবিত্রচরণরজ; আর আমর