পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ꮌ Ᏸ বঙ্কিম-প্রসঙ্গ স্বরসিক ছিলেন। য়ে, পরিষ্কার যুক্তির আলোকের দ্বারা সমস্ত আতিশয্য ও অসঙ্গতি প্রকাশ হইয় পড়ে হাস্যরস সেই কিরণেরই একটা রশ্মি। কতদূর পর্যন্ত গেলে একটি ব্যাপার হাস্তজনক ছইয়া উঠে তাহা সকলে অনুভব করিতে পারে না, কিন্তু যাহার হান্তরসরসিক তাহাদের অন্তঃকরণে একটী বোধশক্তি আছে যদ্বারা র্তাহারা সকল সময়ে নিজের না হইলেও অপরের কথাবার্তা আচারব্যবহার এবং চরিত্রের মধ্যে মুসঙ্গতির স্বক্ষ সীমাটুকু সহজে নির্ণয় করিতে পারেন । নিৰ্ম্মল শুভ্র সংযত হান্ত বঙ্কিমই সৰ্ব্বপ্রথমে বঙ্গসাহিত্যে আনয়ন করেন। তৎপূৰ্ব্বে বঙ্গসাহিত্যে হাস্যরসকে অন্যরসের সহিত এক পংক্তিতে বসিতে দেওয়া হইত না । সে নিমাসনে বসিয়া শ্রাব্য অশ্রাব্য ভাষায় ভাড়ামি করিয়া সভাজনের মনোরঞ্জন করিত। আদিরসেরই সহিত যেন তাহার কোন একটি সৰ্ব্বউপদ্রবসহ বিশেষ কুটুম্বিতার সম্পর্ক ছিল এবং ঐ রসটাকেই সৰ্ব্বপ্রকারে পীড়ন ও আন্দোলন করিয়া তাহার অধিকাংশ পরিহাস বিদ্রুপ প্রকাশ পাইত। এই প্ৰগলভ বিদূষকটি যতই প্রিয়পাত্র থাক্ কখনও সন্মানের অধিকারী ছিল না। যেখানে গম্ভীরভাবে কোন বিষয়ের আলোচন৷ হইত সেখানে হাস্তের চপলত সৰ্ব্বপ্রযত্নে পরিহার করা হইত। বঙ্কিম সৰ্ব্বপ্রথমে হাস্তরসকে সাহিত্যের উচ্চ শ্রেণীতে উন্নীত করেন। তিনি প্রথম দেখাইয়া দেন যে, কেবলই প্রহসনের সীমার মধ্যে হান্তরস বদ্ধ লহে , উজ্জল শুভ্ৰ হান্ত সকল বিষয়কেই আলোকিত করিয়া তুলিতে পারে। তিনিই প্রথম দৃষ্টান্তের দ্বারা প্রমাণ