পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*レア বঙ্কিম-প্রসঙ্গ জলিতেছে, আর দুই একখানি পান্‌লী অন্ধকারে কলিকাতার দিকে বাহিয়া বাইতেছে, তাহদের দাড়ের ছপ ছপ শব্দ শুনা যাইতেছে। এই বাল্যস্কৃতি বঙ্কিমচন্দ্র তাহার পুস্তকের স্থানে স্থানে অঙ্কিত করিয়াছেন, যথা :– “সন্ধ্যাগগনে রক্তিম মেঘমালা কাঞ্চনবর্ণ ত্যাগ করিয়া ক্রমে ক্রমে কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করিল। রজনীদত্ত তিমিরাবরণে গঙ্গার বিশাল হৃদয় অস্পষ্টীকৃত হইল। সভামণ্ডলে পরিচারক-হস্ত-জালিত দীপমালার ন্যায়, অথবা প্রভাতে উদ্যান-কুসুমসমূহের ন্যায় আকাশে নক্ষত্র ফুটিতে লাগিল * প্রায়ান্ধকার নদীহদয়ে নৈশসমীরণ কিঞ্চিৎ খরতরবেগে বহিতে লাগিল। * * * নাবিকের নৌকাসকল তীরলগ্ন করিয়া রাত্রির জন্য বিশ্রামের ব্যবস্থা করিতে লাগিল।”— মৃণালিনী। আর এক স্থানে লিখিয়াছেন,—“নবীন শরচ্যুদয়ে ভাগীরথী বিশালোরসী, বহুদূরবিসৰ্পিণী, চন্দ্রকরপ্রতিঘাতে উজ্জ্বলতরঙ্গিণী, দূরপ্রান্তে ধূমময়ী, নববার-সমাগমে প্রহ্নাদিনী।”—মৃণালিনী )

এই গ্রামের দক্ষিণ দিকে একটি অপ্রশস্ত খাল ছিল। বর্ষাকালে ভাগীরথীর জলে উহা পূর্ণায়তন হইয়৷ পূৰ্ব্বদিকে একটি বিলে মিশিত ; খালটি এমন অপ্রশস্ত যে, উভয় পার্থের গাছের ডালের পাতায় পাতায় মিশিয়া ঐ খালের উপর পাতার ছাদ হইয়াছিল, সে জষ্ঠ খালটি সৰ্ব্বদা অন্ধকারময় থাকিত। বঙ্কিমচন্দ্রের স্কুলে ( Hugly College) যাইবার জন্য একটি ছোট ডিঙ্গী নৌক৷