পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

be বঙ্কিম-প্রসঙ্গ ডাকিয়া লইয়াচ খাইতে গেলেন, কিন্তু বঙ্কিমচন্দ্রকে ডাকেন নাই। বালক বঙ্কিমচন্দ্র তৎক্ষণাৎ চলিয়া আসিলেন; পরে আর ঐ কুঠতে যান নাই—টিড সাহেবের কুঠতে গিয়াছিলেন বটে। ইহার দিন কয়েক পরেই পিতৃদেব কলিকাতার আলিপুরে বদলি হইলেন। এই সময় মলেট সাহেবের সহিত পিতৃদেবের দেখা হইলে, বঙ্কিমচন্দ্র র্তাহার কুঠাতে যাতায়াত বন্ধ করিয়াছেন বলিয়া সাহেব আক্ষেপ করিয়াছিলেন। এইরূপে তিন বৎসর বঙ্কিমচন্দ্র প্রতিদিন সন্ধ্যার সময় বিলাতী পরিবারের সংস্রবে আসায় তাহার কোনও ফল ফলিয়াছিল কি না, তাহা কেহ বুঝিতে পারে নাই। মেদিনীপুর ত্যাগ করিবার প্রায় এক বৎসর পূৰ্ব্বের কথা আমার মনে পড়ে। মেদিনীপুর হইতে আসিয়া আমরা কাঠালপাড়ায় বাস করিতে লাগিলাম। বঙ্কিমচন্দ্র হুগলী কলেজের নূতন session খুলিলে, তথায় ভৰ্ত্তি হইবেন, স্থির হইল। তাহার জন্য গৃহে এক জন প্রাইভেট্ টিউটর নিযুক্ত হইল। কাঠালপাড়ায় আসিয়া বঙ্কিমচন্দ্র অনেকগুলি সংস্কৃত শ্লোক ও বাঙ্গাল কবিতা শিখিলেন। আমাদের জ্যেষ্ঠাগ্রজের বৈঠকখানায় সন্ধ্যার পর বিস্তর ভদ্রলোক আসিতেন। তন্মধ্যে এক জন সংস্কৃতে পণ্ডিত ছিলেন। তিনি মধ্যে মধ্যে সংস্কৃত শ্লোক আবৃত্তি করিতেন। যেটা ভাল লাগিত, বঙ্কিমচন্দ্র তাহ কণ্ঠস্থ করিতেন, এবং ঐ ব্যক্তির নিকট হইতে শ্লোকের ব্যাখ্যা করাইয়া লইতেন। আর, বাঙ্গাল কবিতাগুলি-যাহ সৰ্ব্বদা আবৃত্তি করিতেন, তাহ কবি ঈশ্বর গুপ্তের